বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বয়সের ক্লিয়ারেন্স সনদ গ্রহণের প্রস্তাব করেছে সংসদীয় কমিটি। বাল্যবিয়ে বন্ধে এ প্রস্তাব করা হয়। এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের মাধ্যমে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বয়স যাচাইয়ের প্রস্তাব এসেছে।

রোববার (৩ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সংসদের স্ট্রেংদেনিং পার্লামেন্ট’স ক্যাপাসিটি ইন ইন্টিগ্রেটেড পপুলেশন ইস্যু ইনটু ডেভেলপমেন্ট (এসপিসিপিডি) প্রকল্পের সদস্য সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এই প্রস্তাব দিয়েছেন।

এক্ষেত্রে এনআইডি সার্ভারের তথ্য ব্যবহার করে বিয়ের কাজি নিজের তথ্য ও বিয়ে প্রার্থীদের তথ্য ইনপুট দিয়ে বিয়ের ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ গ্রহণের পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আ স ম ফিরোজ বাল্যবিয়ে বন্ধে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে ওই প্রস্তাব দেন। তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধে গ্রামভিত্তিক সচেতনতা কার্যক্রম চালু ও নারী নির্যাতন বন্ধে থানার একজন নারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব করেন। এছাড়া মাদক দমনে প্রতিটি থানায় একজন অফিসার নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পাত্র-পাত্রীর বয়স প্রমাণে এনআইডি যাচাইসহ বেশকিছু প্রস্তাব তিনিসহ এসপিসিপিডি সদস্যরা দিয়েছেন। সংসদীয় কমিটি তাদের বক্তব্য আমলে নিয়েছেন। এ বিষয়ে পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে আমাদের বলেছেন।

কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ এবং বেগম রুমানা আলী অংশ নেন।

এছাড়া বিশেষ আমন্ত্রণে আ স ম ফিরোজ ছাড়াও মোছা. মাহাবুব আরা গিনি, মেহের আফরোজ, মো. আব্দুস শহীদ, আ ফ ম রুহুল হক, মো. হাবিবে মিল্লাত, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, মোছা. শামীমা আক্তার খানম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং আরমা দত্ত অংশ নেন। সূত্র: যুগান্তর