মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড: আটক ৪, দুইজনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন

ফানাম নিউজ
  ০২ অক্টোবর ২০২১, ২৩:২৮
আপডেট  : ০২ অক্টোবর ২০২১, ২৩:৫৮

কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় চার রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন ও পুলিশ। শনিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ২ জনকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন

রবিবার (৩ অক্টোবর) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই রোহিঙ্গার রিমান্ড শুনানি হবে।

আদালতে সোপর্দ করা দুই রোহিঙ্গা হলো- উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের ‘সি’ ব্লকের সেলিম প্রকাশ ওরফে লম্বা সেলিম ও অপর জন কুতুপালং ৩ নম্বর ক্যাম্পের শওকত উল্লাহ। 

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রবিবার (৩ অক্টোবর) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই রোহিঙ্গার রিমান্ড শুনানি হবে। 

এদিকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক চার জনের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ ওরফে লম্বা সেলিমকে এবং রোহিঙ্গা জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে দিবাগত রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করে। অপরদিকে উখিয়া থানা পুলিশ শনিবার বিকেলে অপর রোহিঙ্গা শওকত উল্লাহকে আটক করে। 

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমদ সন্জুর মোর্শেদ জানিয়েছেন, শওকত উল্লাহকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে আটক করা হয়। এ পর্যন্ত মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এপিবিএন তিনজন এবং উখিয়া থানা পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এর মধ্যে শওকত উল্লাহ ও মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহ’র নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি করে। এসময় ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে সে ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে “এমএসএফ” হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে মৃতদেহটি হস্তান্তর করা হয়।

১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জেলা পুলিশ ও এপিবিএন এর টহল বাড়ানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।