শিরোনাম
ভিটামিন-ই এবং ফাইবারসমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল ও চায়না অরিজিন বেগুনি জাতের ধান চাষ করেছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৃষক মো. মোজাফফর আহমেদ মিন্টু। তিনি দুই শতক জমিতে প্রথমবারের মতো এ ধান চাষ করছেন।
মো. মোজাফফর আহমেদ মিন্টু উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের জগজীবন (গোবরাপাড়া) গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তিনি তার এক বন্ধুর কাছ থেকে পরীক্ষামূলক চাষ করতে এক কেজি ধান নিয়ে চাষাবাদ করেন।
কৃষক মো. মোজাফফর আহমেদ মিন্টু জানান, এ ধানের ধান একরপ্রতি উৎপাদন প্রায় ৫০-৫৫ মণ, ধানগাছে শীষের সংখ্যা অনেক বেশি, প্রতিটি শীষে প্রায় ২০০-৩১৩ দানা হয়, অনেক পুষ্টিগুণের পাশাপাশি দীর্ঘদিন এ ধানের ভাত খেলে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগের মতো আরও অনেক রোগ প্রতিরোধ ঝুঁকি কমায়।
সাধারণত অন্য জাতের ধান চাষ থেকে এ ধানে রাসায়নিক-কীটনাশক পরিমাণে কম লাগে। তুলনামূলকভাবে অন্য জাতের ধান থেকে এ জাতের ধান চাষে খরচ অনেক কম। এ জাতের ধান কৃষকের ঘরে তুলতে প্রায় ৯০ দিন সময় লাগে।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্র জানায়, এ ধানকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ নাম দিয়েছেন পারপল লিফ রাইচ। চালের রঙও বেগুনি হয়। চাল মোটা হয়ে থাকে। বোরো ও আমন দুই মৌসুমে চাষাবাদ করা যায়। বোরো ৫০-৫৫ মণ ও আমনে ১২-১৩ মণ ধান হয়ে থাকে। এই ধানের জাতকে অনেকে দুলালী সুন্দরী বলে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ওই কৃষকের রোপণকৃত বেগুনি জাতের ধান আমরা সবসময় মনিটরিং ও অবজারভার করছি। যদি এর ফল ভালো হয়, তা হলে আমরা অন্য কৃষকদের চাষাবাদ করতে উৎসাহিত করব। যেহেতু পীরগাছায় এই প্রথম বেগুনি ধানের চাষ হচ্ছে, তাই আমরা আরও অবজারভার করে বিস্তারিত জানাতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল আলম জানান, বেগুনি জাতের ধান চাষ পীরগাছায় এই প্রথম। ফলন যদিও একটু কম, খেতে সুস্বাদু। ধান ও চালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব না রাখলেও এটার ধান ও চাল দেখতে অনেক সুন্দর। এটি পরিবেশের ওপর ভালো একটি প্রভাব রাখবে।
যদি এর ফলন ভালো হয়; তা হলে আমরা কৃষকদের চাষাবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করব।
ওই গ্রামের সমাজসেবক মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন, মিন্টু একজন কীটনাশক ব্যবসায়ী। তার কৃষি সেবা কেন্দ্র নামে মমিনবাজারে একটি কীটনাশক ব্যবসা আছে। তিনি এই প্রথম আমাদের এলাকায় বেগুনি জাতের ধান এনেছেন, তা দেখে আমার ভালো লাগছে।