শিরোনাম
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এক মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
সোমবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার সম্রাটের স্বাস্থ্যগত কারণ বিবেচনায় এ আদেশ দেন।
শুনানির সময় সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতকে জানান, সম্রাট ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর থেকে কারাগারে বন্দি আছেন। এ ছাড়া, তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ছিলেন। তাই তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা উচিত।
পরে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ১০ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গতকাল তিনি ২০১৯ সালে রমনা থানায় দায়েরকৃত অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পৃথক ২টি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে আটক করে র্যাব। র্যাব জানায়, আটকের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেন।
ঢাকায় আনার পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। অস্ত্র ও মাদক রাখায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সিআইডি তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে। আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
সূত্র: দেশ রূপান্তর