শিরোনাম
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বাসিন্দা ইতিহাসবিদ তরফরত্ন সৈয়দ আব্দুল্লা আর নেই।
শনিবার ভোররাত ৩টা ২০ মিনিটে ঢাকার ধানমন্ডির বাসায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। শনিবার বেলা আড়াইটায় বাহুবল উপজেলার উত্তরসুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসবিদ ও শেকড় সন্ধানী ইতিহাস গবেষক সৈয়দ আবদুল্লাহ। আধুনিক বাংলা ইসলামি সাহিত্যের অন্যতম বাক নির্মাতাদের অন্যতম তিনি। মাসিক মদীনার তিন যুগের জনপ্রিয় লেখক ও গবেষক।
বৃহত্তর সিলেটের সমকালীন কৃর্তিমান মনীষীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান নিয়ে এই বরেণ্য ইতহাস গবেষকের লেখা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
উলামায়ে হিন্দ এর জীবন কর্ম নিয়ে বাংলা ভাষায় এতো লেখালেখি দ্বিতীয় আর কেউ করেননি। দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মুখপত্র মাসিক মঈনুল ইসলামে লাগাতার কয়েক বছর ধারাবাহিক পর্ব লিখেন, 'আযাদী আন্দোলনে আলেম সমাজ' শিরোনামে। আজীবন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নিষ্ঠাবান দায়িত্বশীল ছিলেন তিনি। ছিলেন ফেদায়ে মিল্লাত মাওলানা সাইয়্যেদ আসআদ আল মাদানী রহ. এর একনিষ্ঠ শিষ্য।
আব্দুল্লা ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসাবে কাজ করেন। পাশাপাশি লিখেছেন বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় অনেক বিষয়ের উপর গবেষণাগ্রন্থ।
সুত্র: যুগান্তর