শিরোনাম
আইফোন কেনার জন্য লক্ষাধিক টাকা জমিয়েছিলেন কিন্তু কিডনি রোগে আক্রান্ত সবুজ মিয়া নামে এক ব্যক্তির টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না এ খবর পেয়ে সে টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছেন সাকিল সরোয়ার। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। তার বাসা পিরোজপুর শহরের শিকারপুর সড়ক এলাকায়। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে। সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ
সাকিল সরোয়ার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবুজ মিয়ার অসুস্থতার কথা জানতে পারি। সবুজ মিয়া সাভারের আশুলিয়ার গৌড়িপুর গ্রামের রিজাম উদ্দিনের বাড়িতে থাকেন। তার বাবার নাম মো. হুমায়ুন কবির, মায়ের নাম রিতা বেগম।
তিনি বলেন, অসুস্থ সবুজ মিয়ার খবর পেয়ে তাকে সাহায্য করতে এক প্রবাসী এগিয়ে আসেন তখন বাধ সাধে সবুজ মিয়ার স্ত্রীর পরিবার। সবুজ মিয়ার স্ত্রী প্রতিবন্ধী। অসুস্থ স্বামীর জন্য সে কিডনি দিতে রাজি হলেও সবুজের শ্বশুর পক্ষের লোকজন বাধা দেয়, তখন থেমে যায় কিডনি দেওয়া। এরপর এগিয়ে আসে সবুজের মা। তখন সমস্যা দেখা দেয় টাকা জোগাড়ের।
তিনি আরো বলেন, সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাসিস করতে ১১ হাজার টাকা লাগে। আমি বিষয়টি শুনতে পেরে সবুজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং ৬ মাস ধরে আইফোন কেনার জন্য জমানো লক্ষাধিক টাকা তার হাতে তুলে দেই।
সাকিল সরোয়ার জানান, তিনি ছাড়া আরো এক প্রবাসী সবুজ মিয়াকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো একজন সবুজ মিয়াকে আরো এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে সবুজ মিয়ার কিডনির অপারেশন হবে।
সাকিল সরোয়ারের একমাত্র ভাই জামিল সরোয়ার আমেরিকায় থাকেন। সেখানে তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এনওয়াইপিডির শহর গোয়েন্দা ব্যুরোতে কর্মরত। তাদের বাবা সরোয়ার হোসেন ছিলেন একজন সফল আইনজীবী।এছাড়া তিনি (সরোয়ার হোসেন) বিভিন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। করোনার প্রথম ঢেউয়ে জামিল সরোয়ারের নিউইয়র্ক এর বাসায় বসে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সরোয়ার হোসেন। সাকিল সরোয়ারের মা রেনু সরোয়ার অধ্যক্ষ হিসেবে চাকরি থেকে অবসরে যান।