"জনমনে স্বস্তি ফেরায় বিএনপির অস্বস্তি বেড়েছে"

ফানাম নিউজ
  ২৬ মার্চ ২০২২, ১০:১৪

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সরকারের পদক্ষেপে জনগণের মাঝে স্বস্তি ফেরায় বিএনপির অস্বস্তি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ফ্যামিলি কার্ডে কম দামে পণ্য কিনতে পেরে দেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু এতে বিএনপি এবং কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবীর মনে অস্বস্তি বেড়ে গেছে।’

শুক্রবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নগরীর এলজিইডি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের একই শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সজন কুমার তালুকদার প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। দেশেও আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বেড়েছে। এ দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষের যাতে কোনো কষ্ট না হয়, সে জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন।
 
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল শুধু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নয়, বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। সে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু পূরণ করে যেতে পারেনি। যখন বিধ্বস্ত বাংলাদেশের তিন কোটি মানুষকে পুনর্বাসিত করে এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে পুনর্গঠিত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি হার ছিল ৯.৫৯ শতাংশ। যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রেকর্ড আমরা এখনো ছুঁতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৬শ’ ডলারের কাছাকাছি। যেটি ভারতকেও ছাড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২৫ মার্চ রাতের নির্মম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়েছে। সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি যৌক্তিক। কিন্তু যখন একটি দলের প্রধান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে আসলে ৩০ লাখ লোক মারা যায়নি। তখন আন্তর্জাতিক মহল স্বীকৃতি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতেই পারে।

বিএনপির সন্দেহ পোষণ গণহত্যার স্বীকৃতিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বলে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘না হয় আমরা গণহত্যার স্বীকৃতি সহজেই পেতাম।’

বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান রক্ষাকবচ আখ্যায়িত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই অপশক্তির অপপ্রচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

সূত্র: দেশ রূপান্তর