শিরোনাম
শুক্রবার (২৫.০৩.২০২২) ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে জানান, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু কিলিং মিশন শেষ করতে হত্যাকারীদের সময় লাগে মাত্র এক থেকে দেড় মিনিট।
কাজ শেষে হত্যাকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান। পুরো ঘটনাটিই তিনি কাছ থেকে দেখেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন টিপু। চালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন। একই ঘটনায় নিহত হন সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতি (২২)।
মিজানুর হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন, গাড়িটি ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই হঠাৎ জাহিদুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে এক যুবক। এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যান তিনি। এই পুরো ঘটনা ঘটেছে মাত্র এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে। জাহিদুলকে কেউ হুমকি দিয়েছিল কি না তা তাঁদের কাছে বলেননি।
জাহিদুল মিল্কি হত্যামামলার আসামি ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই মামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে মিজানুর বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য তদন্ত করে সেটা বলতে পারবে।
পুলিশ জানায়, জাহিদুল ইসলাম যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে অনেক দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্ত হন। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণিবিতানের সামনে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জাহিদুলের বাসা খিলগাঁওয়ের বাগিচা এলাকায়। মতিঝিল এলাকার আধিপত্য বিস্তার এবং ফুটপাতে দোকান বসিয়ে বাণিজ্য করা নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল বলে জানা গেছে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর