শিরোনাম
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় নরসিংদী- রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কের সজল ভূঁইয়া এলপিজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের সামনে শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে পিকআপ ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছে, গুরুতর আহত হয়েছে আরও এক নারী।
নিহতরা হলো রায়পুরা উপজেলার বাহেরচর এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে আবদুল রউফ (৬২), আবদুল্লাপুরের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে কাইয়ুম (১৭) ও অহিদ মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক আইনউদ্দিন (৩৫) ও দক্ষিণ মির্জানগরের জালাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৩৫)। আইনউদ্দিন ছাড়া বাকিরা ছিলেন সিএনজির যাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে রায়পুরার চরসুবুদ্ধি থেকে যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাটি নরসিংদী যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকার কাওরান বাজারে সবজি বিক্রি করে একটি পিকআপ সকালে রায়পুরায় ফিরছিল। সকাল সাতটার দিকে ফিলিং স্টেশনের সামনে সিএনজি পৌঁছালে বিপরীত দিক আসা পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালকসহ ৪ জন নিহত হয়।
এ সময় রিমা (২০) নামে এক নারী যাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হানিফ শিকদার বলেন, পিকআপটি বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চারজন মারা যায়। পরে আমরা পুলিশকে খবর দেই এবং এক নারীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠাই।
নিহত মনিরের চাচা আল-আমিন বলেন, সকালে আমার ভাতিজা কাজের উদ্দেশ্যে নরসিংদী যাচ্ছিল। পথে দুর্ঘটনায় সে মারা যায়। চালকের অসতর্কতা ও বেপরোয়া গতির কারণেই আজকে আমার ভাতিজাকে হারাতে হয়েছে। আমরা অবিলম্বে দোষী চালকের বিচার চাই ও নিহতের পরিবারের জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আবদুল মান্নান আনসারী বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলের এসে পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করি। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চারজন মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওভারটেক, চালকদের বেপরোয়া গতি ও অসতর্কতার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর