"রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ নাই"

ফানাম নিউজ
  ২১ মার্চ ২০২২, ১৯:৩৮

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে স্বীকার করে সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম চত্বরে টিসিবির পণ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, শুধু আমাদের দেশে নয়, দাম বেড়েছে অনেক দেশেই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। 

দেশের ৯০ ভাগ ভোগ্যপণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে রমজানের আগে ও পরে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ নাই। পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য মজুত রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় প্রমুখ ।

এর আগে দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌঁছান বাণিজ্যমন্ত্রী। সার্কিট হাউসে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
 
তখন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে এর প্রভাব পড়েছে। রমজান আসলে ক্রেতাদের মধ্যে একটা মানসিকতা থাকে রোজা শুরু হওয়ার আগেই বেশি করে জিনিসপত্র কিনে রাখা। তাতে মার্কেটে হঠাৎ করে চাপ বাড়ে।

তিনি বলেন, স্বাভাবিক থাকলে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

টিসিবির উপকারভোগী পরিবার নির্বাচন প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সব ক্রাইটোরিয়া মেনে তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে টিসিবির কার্ড বিতরণে কোনো অনিয়ম বা আর্থিক লেনদের অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, দুই কিস্তিতে এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হবে। ভোজ্যতেলের ওপর  ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। ফলে তেলের দাম এখন নিম্নমুখী।

ঠাকুরগাঁওয়ে ৯২ হাজার ৬৮৮ জনকে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল, চিনি, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।

১০ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলার তিন পৌরসভা ও ৫২ ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত কার্ডধারীদের মাঝে টিসিবির পণ্য কম মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন ভোক্তা ৪৬০ টাকায় দুই কেজি মসুর ডাল, দুই কেজি চিনি ও দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন।

তবে আসন্ন রমজানে এসব পণ্য ছাড়া স্বল্প দামে খেজুর ও ছোলা বুট কিনতে পারবেন ভোক্তারা।

সূত্র: দেশ রূপান্তর