শিরোনাম
আগামী ২৪ মার্চের পর থেকে ৯ মার্চের আগের কোন ডিও দিয়ে মিল থেকে তেল সরবরাহ করা হলে তা বাজায়াপ্ত করে জেল জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
গতকাল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থিত মেঘনা গ্রুপের মেঘনা এডিবঅয়েল কারাখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বাজার কারসাজিতে উচ্চ পর্যায়ের লোক জড়িত।মিল মালিক ও বড় বড় ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোক্তাদের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি মিল পরিদর্শন করে আমরা দেখছি কোন মিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনের ‘গ’ ফরম পুরন করছেন না।যা আইনের সবচেয়ে বড় ধরনের ব্যত্যয়।
তিনি বলেন, মিল গেট থেকে পন্যের প্রতি লিটারের মূল্য নির্ধারণ করে না দেওয়ার কারণেই ডিও ব্যবসায়ী বা পাইকাররা নিজেদের মতো মূল্য বসিয়ে বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।যার কারণে বাজারে দাম বেড়েছে। ভোক্তাদের কষ্ট বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোন মিল থেকে পণ্য বিক্রি করে যদি পাকা রশিদ সঙ্গে না দেওয়া হয় সেই মিলের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মেঘনা এডিবঅয়েল মিলের গত তিন মাসের সয়াবিন উৎপাদন, বিপণন ও মজুদ যাচাই করে দেখা যায়, সাপ্লাই চেইনে কিছুটা বিচ্যুতি রয়েছে।
বিশেষ করে জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফ্রেব্রুয়ারি মাসের সাপ্লাই অনেক কম হয়েছে।এছাড়া ডিসেম্বর মাসে ইস্যু করা ডিওর পন্য বুধবার মিল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। যা প্রদান করার কথা ছিল ১৫ দিনের মধ্যে। নরসিংর্দী লোকনাথ ভাণ্ডার ডিসেম্বর মাসে ৩০ লাখ লিটার ফ্রেস তেলের জন্য ডিও গ্রহণ করে।সেই পণ্য ভঙ্গে ভঙ্গে ১৬ মার্চ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা কোন ভাবেই এটা করা যাবে না।আগামী ২৪ মার্চের পর থেকে ৯ মার্চের আগের কোন পণ্য মিল গেটে পাওয়া গেলে তা বাজায়াপ্ত করে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে।একই ভাবে যদি কোন মিল এই কাজ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মিল থেকে সায়াবিন তেলের মূল্য কারসাজি বা মিল থেকে পন্য সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার অভিযাগ অস্বিকার করেছেন মেঘনা গ্রুপের পরিচালক কার্তিক চদ্র দাস। তিনি বলেন, বাজার কারসাজির সঙ্গে মিলমালিকরা জড়িত নয়। মিল থেকে যারা পণ্য সরবরাহ করে সেই ডিও ব্যবসায়ীরা তেল মজুদ করে বাজার কারসাজিতে জড়িত।
সূত্র: যুগান্তর