প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে টিকা দেওয়ার নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ

ফানাম নিউজ
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:৩৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে টিকা দেওয়ার নতুন রেকর্ড করল বাংলাদেশ। বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মঙ্গলবার সারা দেশে ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ১২৩ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। 

৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার শুরু হওয়া করোনাভাইরাসের বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি বুধবারও চলছে। যেসব কেন্দ্রে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি, সেসব কেন্দ্রে আজও ক্যাম্পেইনের টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার সকালে এ তথ্য জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটি’র সদস্য সচিব শামসুল হক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এর আগে দেশে একদিনে এত সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়নি। গতকাল সকাল ৯টায় দেশের চার হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের ৪৪৩টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত কেন্দ্রে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। 

রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে ভিড় থাকলেও অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকার পর টিকা পেয়ে তাদের মধ্যে দেখা যায় স্বস্তির ভাব। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে ৮০ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও মঙ্গলবার দুই ডোজ মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯২ ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ১২৩ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৯ জনকে।

অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হয় তাদের। মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো টিকাদানবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবারের বিশেষ এ কর্মসূচিতে দেওয়া হয়েছে প্রথম ডোজ টিকা। এর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ২৮ অক্টোবর।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি এখন পর্যন্ত গণটিকাদানের দুটি বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। মঙ্গলবারের আগে ৭ থেকে ১২ আগস্ট একটি বিশেষ সম্প্রসারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। তার প্রথম দিনেই ৩০ লাখের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছিল।

দেশে এখন পর্যন্ত টিকা এসেছে ৫ কোটি ৭০ লাখ ৮৫ হাজার ৮০ ডোজ। এ মুহূর্তে টিকা মজুত আছে ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৮ ডোজ। এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৯ জন।