শিরোনাম
অলভিয়া বন্দরে রাশিয়ার রকেট হামলায় নিহত এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেন থেকে রোমানিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মলদোভা হয়ে হাদিসুরের মরদেহ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে নেওয়া হবে বলে বুধবার (৯ মার্চ) রাত সোয়া ১১টায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বিএমএমওএ সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসাইন নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অফিসিয়াল লোকজন না থাকায় হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেন থেকে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিলম্বিত হয়। কিন্তু বুধবার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ভোরে ইউক্রেন থেকে যাত্রা করে মলদোভা হয়ে বুখারেস্টে রওনা হবে হাদিসুরের মরদেহবাহী ফ্রিজার ভ্যান।
বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। অলভিয়া থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকাপড়ে জাহাজটি।
গত ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। এরপর হাদিসুরের মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরে ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউজ) থেকে মলদোভার পথে যাত্রা শুরু করেন ২৮ নাবিক। রোববার দুপুরে ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মলদোভা হয়ে তারা রোমানিয়া পৌঁছান।
এরপর বুধবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টা ১ মিনিটে ২৮ নাবকিকে বহনকারী তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর ১২ নাবিক বুধবার রাতে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসেন।
সূত্র: জাগো নিউজ