শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে নারীদের শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি তাদের চাকরির জন্য সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সরকারি চাকরিতে নারীদের সরব অংশগ্রহণ রয়েছে। আমার পিতা সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। আমার পিতা আমার অনুপ্রেরণা। এখন নারীরা শুধু ঘরবন্দি না, পুলিশ, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে নারীদের সমান অংশগ্রহণ রয়েছে। নারীদের স্বাস্থ্য সেবা ও খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রয়েছে। আমরা সব জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছি।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দুবাই এক্সপোতে আয়োজিত ‘রিডিফাইনিং দ্য ফিউচার ফর উইমেন’ শীর্ষক আলোচনায় তার বক্তব্যে এ কথা বলেন। দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারের সাউথ হলে এ আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল ওমেনস ডে ফোরাম: ব্রেক দ্য বিচ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটা ব্যাপার অনুধাবণ করতে হবে, নারীরা শুধুমাত্র নারী নন, নারীরা মা। তাই আপনি যদি মায়ের মমতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করেন, তাহলে মানুষ আপনাকে অবশ্যই সমর্থন দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যে রাষ্ট্র গঠন করেছেন সেখানে নারীদের জন্য আলাদা সুযোগ ও আসন রেখেছিলেন। তিনি যেমন নারীদের এগিয়ে রেখেছিলেন, সেখান থেকেই নারীরা এখনো এগিয়ে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ শীর্ষে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ে থেকে নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছে।
দুবাইয়ের চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ওমর বুট্টির সঞ্চালনায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনার এ সেশনে অংশ নেন ইউএনএফপিএর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. নাটালিয়া কানেম। এছাড়াও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণে বক্তব্য রাখেন- সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক উপদেষ্টা ড. আনোয়ার গারগাশ এবং ওমেন টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউটিও) ডিরেক্টর জেনারেল ড. গোজি আকুঞ্জ-ওয়ালা। আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মুখপাত্র মিসেস ইভন এনডেগে। আলোচ্য বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কোন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি ও কারটিয়ার ইন্টারন্যাশনালের সিইও অ্যান্ড প্রেসিডেন্ট সিরিল ভিগনারন।
সূত্র: যুগান্তর