দাম নিয়ন্ত্রণে চিনির শুল্ক কমালো সরকার

ফানাম নিউজ
  ০৮ মার্চ ২০২২, ১১:৪১
আপডেট  : ০৮ মার্চ ২০২২, ১২:১৭

চিনির দামে লাগাম টানতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত আমদানিকারকরা টনপ্রতি আগের হারে শুল্ক-কর দিয়ে অপরিশোধিত চিনি খালাস করতে পারবেন। 

জানা গেছে, অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণমূলক শুল্ক আরোপিত আছে। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বছরের অক্টোবরে এটি কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। 

ওই প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত জানুয়ারি চিনির সংরক্ষণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশ বহাল রেখে প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়াতে একাধিকবার এনবিআরে চিঠি দেয় সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। 

চিঠিতে রোজায় চাহিদা বৃদ্ধি ও বর্ধিত জাহাজ ভাড়ার বিষয়ে উল্লেখ করে বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ বাড়ানো না হলে অপরিশোধিত চিনি আমদানির প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল হবে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। 

বর্তমানে টনপ্রতি অপরিশোধিত চিনি আমদানি করতে ২২ হাজার ১৩৭ টাকা শুল্ক-কর দিতে হয়। এর মধ্যে শুল্ক ৩ হাজার টাকা, সংরক্ষণমূলক শুল্ক ৯ হাজার ৩২৮ টাকা, ভ্যাট ৮ হাজার ৮৪৫ টাকা, অগ্রিম আয়কর ৯৩২ টাকা এবং অন্য কর ৩০ টাকা।    

এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এনবিআরে চিঠি দিয়ে ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল প্রায় এক হাজার ৫৩০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিশোধিত পাম তেল প্রতি টন এক হাজার ৫০৮ ডলার ও পামওলিন এক হাজার ৫২০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, যা স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড। 

স্থানীয় বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪৩ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১৩৩ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে আমদানিকৃত অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল স্থানীয় মিলে পরিশোধিত হয়ে বাজারে প্রবেশ করলে প্রতি লিটার সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য আরও বাড়বে। 

ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় ভোজ্যতেলের বর্তমান মূল্য অস্বাভাবিক। এজন্য অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের ৬৭ দশমিক ৬৭ শতাংশের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ অথবা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট হতে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। 

সূত্র: যুগান্তর