শিরোনাম
বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের যে মৈত্রীর বন্ধন তা রক্তের অক্ষরে লেখা আছে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের ঐতিহাসিক অবদানের কথা কখনও ভুলবে না বাঙালি জাতি।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় দ্বিতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও ড. হাছান মাহমুদসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র শেখ হাসিনা : এ ডটার’স প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত শিল্পী, চিত্র নায়ক ফেরদৌস ও নায়িকা অপু বিশ্বাস অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায়।
মহান মুক্তি সংগ্রামে ত্রিপুরার মানুষের ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য ত্রিপুরার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরাকে নিয়ে আমার আবেগ এবং উচ্ছ্বাস রয়েছে। আমরা দুই দেশের মানুষ হলেও আমাদের ভাষা এক, সংস্কৃতিরও মিল রয়েছে, আমরা একই পাখির কলতান শুনি।
আলোচনায় অংশ নেন- ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, শিল্পী মমতাজ বেগম এমপি, সাইমুম সারওয়ার কমল এমপি, তথ্য সচিব মকবুল হোসেন, ভারতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের উপহাইকমিশনার নুরাল ইসলাম, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ।
আগরতলায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যান তথ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত নায়ক-নায়িকাসহ ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল উৎসবে যোগ দেন।
সূত্র: আরটিভি