জানুয়ারিতে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ফানাম নিউজ
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪৪

আগামী বছরের শুরুতে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে তিনি এ সফর করতে পারেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। চলতি বছরের শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর এই সফরসূচি চূড়ান্ত হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বাংলাদেশ। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া উভয় দেশ ৬ ডিসেম্বর ‘মৈত্রী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল।

সফরে দুই দেশের মধ্যে বিবদমান সমস্যাগুলোর মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে দুই নেতা আলোচনায় বসবেন বলে জানা গেছে।

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অংশ নেওয়ায় দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। অধিবেশনে তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করেন।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সদ্য স্বাধীন হওয়া রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য ৫০ বছর আগে দুই দেশের কূটনীতিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতার কথা সর্বজন বিদিত কিন্তু সেসময় ভারতের যে ভূমিকা সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল তা হলো- সদ্য স্বাধীন হওয়া রাষ্ট্রের বিশ্ব স্বীকৃতির ব্যাপারে। এ ব্যাপারে ভারতীয় কূটনীতিকরা বাংলাদেশকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন।

১৯৭১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার সোরান সিং বাংলাদেশে সংঘটিত পাকিস্তানিদের বর্বর হত্যাযজ্ঞের কথা সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি অধিবেশনের প্লেনারি সেশনে পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে পাকিস্তানকে অনুরোধ জানান। বাংলাদেশ এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে।

এরপর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বিশ্বের সেই সময়ের শক্তিধর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও পোলান্ডের মতো রাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বীকৃতি পায়।