করোনা বিধিনিষেধের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে স্কুল খুলেছে আজ

ফানাম নিউজ
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:৫২

করোনা বিধিনিষেধের মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্কুল খোলার সুযোগ দিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। আজ থেকে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সশরীরে ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে আজ।

পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস শুরুর বিষয়ে পাড়ায় পাড়ায় নিজ নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ব্যবস্থা নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর আগে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্তের বহু স্কুলে চোখে পড়েছে তৎপরতা। কোচবিহার থেকে মালদহ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে দুই দিনাজপুর—উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির স্কুলগুলিতে এ দিন তুঙ্গে উঠেছিল ক্লাসঘর, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল জীবাণুমুক্ত করার কাজ। একই ছবি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যে বহু স্কুলে। বীরভূমে এ দিন স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, জীবাণুনাশের কাজ সরেজমিনে দেখেন জেলা শিক্ষা ও প্রশাসনের কর্তারা। পশ্চিম বর্ধমানে জেলা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ-প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক করেন অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা) সঞ্জয় পাল।

করোনা-বিধি মানার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা দেখা গিয়েছে স্কুলে-স্কুলে। হুগলির শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আইভি সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা-বিধি মানতে কী-কী করতে হবে, পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভিডিও এবং অডিও-বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়েছে। থার্মাল গান দিয়ে ছাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে।

একে অন্যের থেকে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রাখতেও নানা স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরুলিয়া শহরের শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী পাল বলেন, স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুভাগে আসতে বলা হয়েছে। প্রথমদিন অর্ধেক ছাত্রী ও পরদিন বাকিরা আসবে।

বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটি বেঞ্চে দুই থেকে তিনজনকে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেদন করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বলেছেন। গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্যদের মাধ্যমে অভিভাবকদের বলা হচ্ছে, তারা যেন ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠান।