শিরোনাম
ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদনীতি বজায় রেখেছে। তারা তাদের জমি ও সম্পত্তি দখল করে বেআইনি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এবং তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেছে।
নতুন একটি প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরেছে মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। চার বছরেরও বেশি সময় নিয়ে তৈরি করা ২০০ পৃষ্ঠারও বেশি এক প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। খবর মিডল ইস্ট আই।
এসব বিষয় তুলে ধরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরাইল প্রতিবেদনটিকে ইহুদিবিরোধী এবং ভুল বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
অ্যামনেস্টি বলছে, ইসরাইল এমন একটি নির্যাতনমূলক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা কায়েম করেছে, যা প্রয়োগ করে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর ওপর কর্তৃত্ব ফলানো যায়। ইসরাইলের ভেতর এবং অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে ইসরাইলের নীতি, আইন, আচরণ 'আ্যাপারথাইড' অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের সমতুল্য।
আন্তর্জাতিক আইনে এ ধরনের 'অ্যাপারথাইড' অর্থাৎ নির্যাতন এবং বৈষম্যমূলক আইনের মাধ্যমে একটি জনগোষ্ঠীর ওপর অন্য জনগোষ্ঠীর কর্তৃত্ব এবং শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলকে অস্ত্র ও অর্থনৈতিক সহায়তা সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের উচিত মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ তদন্ত করা যা ইসরাইল এবং হামাস উভয়ই সংঘটিত করে থাকতে পারে তাদের মধ্যে সংঘাতের সময়ে।
পশ্চিমতীর এবং গাজা উভয় স্থানের ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা প্রতিবেদনটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গাজায় হামাসের একজন মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন— তার দৃষ্টিতে রিপোর্টটিতে ফিলিস্তিনিদের জীবনের বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়েছে।
তবে ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, অ্যামনেস্টি ইসরায়েলকে ঘৃণা করে এমন সব সংগঠনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অসংলগ্ন।