শিরোনাম
উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে সেগুলোকে পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ছবি বলে দাবি করা হয়েছে। বিবিসি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার প্রকাশ করা এসব ছবিতে কোরিয়া উপদ্বীপ এবং আশেপাশের এলাকা দেখা যাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ ছবিগুলো প্রকাশ করে জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রের যেখানে বোমা থাকে, সেখানে সংযুক্ত একটি ক্যামেরা থেকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে।
দুইটি ছবিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সময়কালও উঠে এসেছে। বাকি ছবিগুলো তোলা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশের দিকে ওঠার সময়।
এটা হোয়াসং-১২ নামে মধ্যম পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান জানিয়েছে, জাপানের উপকূলের কাছে সাগরে পড়ার আগে এটি দুই হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল বলে জানা গেছে।
চলতি বছরের প্রথম মাসেই সপ্তমবারের মত ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি গত বছরের মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের পরীক্ষা করা বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। বিবিসি রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উত্তর কোরিয়ার পূর্ব তীর থেকে রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে এই ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হয় বলে দক্ষিণ কোরিয়ার দেওয়া তথ্যে জানা গেছে।
২০১৭ সালের নভেম্বরের পর উত্তর কোরিয়া আর এতো বড় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আর চালায়নি বলে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ছোড়ার পর মধ্যম সীমার ক্ষেপণাস্ত্রটি দুই হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায় এবং আধাঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। পরে ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে।
উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমানবিক অস্ত্র পরীক্ষার উপর জাতিসংঘের একটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশটির উপর জাতিসংঘের কঠোর অবরোধ রয়েছে। তবে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি নিয়মিত এসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আসছে। কারণ দেশটির নেতা কিম জং উন সামরিকভাবে দেশটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এদিকে, উত্তর কোরিয়াকে 'যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল কার্যক্রম' থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।