শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে চলাচলকারী ট্রাকচালকদের জন্য জারি করা করোনার টিকাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে অটোয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। এদিন হাজারো বিক্ষোভকারী ফ্রিডম কনভয় নামক আন্দোলনে যোগ দেন। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
কানাডার জাস্ট্রিন ট্রুডোর সরকার ১৫ জানুয়ারি আন্তসীমান্ত ট্রাকচালকদের জন্য করোনার টিকাসংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এর আওতায় কানাডার যে ট্রাকচালকেরা টিকা নেননি, তাঁদের ট্রাক নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ফেরার পর প্রতিবারই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও সম্প্রতি বলেছে, সে দেশে প্রবেশের জন্য বিদেশি ট্রাকচালকদের অবশ্যই টিকা গ্রহণের প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
কানাডায় টিকাসংক্রান্ত আদেশ জারি করায় ট্রাকচালকেরা ক্ষুব্ধ হন। গত শনিবার থেকে অটোয়ায় তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববার কানাডার পার্লামেন্টের আশপাশের রাস্তাগুলোও বন্ধ করে দেন ট্রাকচালকেরা।
অটোয়ার মেয়র জিম ওয়াটসন বলেন, কিছুসংখ্যক বিক্ষোভকারী রেস্তোরাঁয় ঢুকে এর কর্মীকে মারধর করেছেন। করোনার বিধিনিষেধ অনুযায়ী বিভিন্ন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ মাস্ক ছাড়া বিক্ষোভকারীদের প্রবেশে বাধা দিলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে কেন্দ্র করে শনিবার অটোয়ার বাসভবন ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর পরিবার।
বিক্ষোভের সময় এক সেনাসদস্যের ভাস্কর্যের ওপর দাঁড়িয়ে এক নারীর নাচের ফুটেজসহ বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে অটোয়া পুলিশ। পুলিশ ও নগর কর্মীদের প্রতি হুমকি–ধমকিমূলক আচরণ এবং একটি গাড়ি নষ্ট করার ঘটনারও তদন্ত চলছে।
কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনিতা আনন্দ বলেন, এসব ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক।বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডায় আন্তসীমান্ত ট্রাকচালকের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই টিকা নিয়েছেন।