শিরোনাম
সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একটি নারী ব্যাটালিয়নকে নেতৃত্বদানকারী এক সন্দেহভাজন মার্কিন নারীকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
অভিযুক্ত নারীর নাম বলা হচ্ছে ‘অ্যালিসন ফ্লুক-একরেন’। তাঁর বিরুদ্ধে একটি বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীকে উপাদানগত সমর্থনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলেজের ক্যাম্পাস ও একটি শপিং মলে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
মার্কিন সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ৪২ বছর বয়সী এই নারী একসময় যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কমপক্ষে পাঁচটি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।
২০১৯ সালে প্রথম ভার্জিনিয়ার একটি ফেডারেল আদালতে অ্যালিসনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সিরিয়া থেকে আটকের পর গত শুক্রবার তাঁকে এফবিআইয়ের হেফাজতে পাঠানো হয়।
আগামীকাল সোমবার অ্যালিসনকে ইস্টার্ন ভার্জিনিয়ার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির করার কথা রয়েছে।
মার্কিন সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, জঙ্গিবাদে যুক্ত হতে বেশ কয়েক বছর আগে সিরিয়ায় পাড়ি জমান অ্যালিসন। অন্তত ২০১৪ সাল থেকে তিনি আইএসের হয়ে বেশ কিছু জঙ্গি তৎপরতায় অংশ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলেজের ক্যাম্পাসে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন অ্যালিসন। এ জন্য হামলাকারী নিয়োগ দেওয়ার কাজ করেছিলেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে সরকারের বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
মার্কিন সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিরিয়ায় আইএসের একটি নারী ব্যাটালিয়নের নেতা হিসেবে অ্যালিসনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি এই ব্যাটালিয়নের নারীদের একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড ও সুইসাইড বেল্ট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতেন।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জঙ্গিবাদী তৎপরতায় অ্যালিসন যুক্ত ছিলেন বলে অন্তত ছয় ব্যক্তি বলেছেন। তাঁরা আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি শপিং মলের বেসমেন্ট গ্যারেজে বিস্ফোরকবাহী গাড়ি রেখে হামলা চালানোর ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
অ্যালিসনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোতে তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রাম অন এক্সটিমিজমের গবেষণা অনুযায়ী, আইএস–সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে যাঁদের অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের প্রায় ১০ শতাংশ নারী।
তবে অ্যালিসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কোনো আইএস সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত করার ঘটনা এটাই প্রথম।