শিরোনাম
সৌদি জোট ইয়েমেনে ভয়াবহ বিমান হামলার তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি উত্তর ইয়েমেনের সাদা শহরে কারাগারে হামলায় ৭০ জনের বেশি নিহত হয়েছিল।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে যুদ্ধরত সৌদি জোট প্রথমে হামলার দায় অস্বীকার করেছিল। তবে এখন তারা ঘটনা তদন্ত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছেন এবং ২০০ এর বেশি আহত হয়েছেন।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, সৌদি জোট ঘটনা তদন্তে যৌথ মূল্যায়ন টিম (জয়েন্ট ইনসিডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট টিম) গঠন করেছে। এই টিম স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় বলেও খবরে বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, পেশাদারিত্বের ওপর দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং গ্রহণযোগ্যতা থেকে তারা ঘটনার ওপর নজর রাখছেন।
টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনা প্রকাশের প্রথম ঘণ্টার পর থেকে তাদের টিম তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারা তথ্য এবং নথি সংগ্রহ করছে। তদন্ত শেষ হলেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
২০১৫ সালে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি জোট ইয়েমেনে যুদ্ধে নামে। যুদ্ধের অংশ হিসেবে সৌদি জোট হুথিদের ওপর প্রায়ই বিমান হামলা চালায়। তবে সৌদি জোট সর্বশেষ হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
তবে ডক্টর উইদাউট বর্ডারস যেটা মেডিসিন সানস ফ্রন্টিয়ার (এমএসএফ) নামে পরিচিত তার একজন সদস্য বলেন, এটা যে একটা বিমান ঘটনা তাতে কোনো ভুল নেই। সাদা শহরের প্রত্যেকেই শব্দ শুনেছে।
হামলার পর হুথি বিদ্রোহীরা এটাকে- ‘মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে। তারা বিশ্ব সম্প্রদায়কে এর দায় নেওয়ার জন্য বলেছে।
সাত বছরে বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ-সংঘাতে জর্জরিত ইয়েমেন। জাতিসংঘ শুরু থেকেই বলে আসছে, ইয়েমেন সংকটের কোনো সামরিক সমাধান নেই। শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথ বেছে নেওয়ার জন্য যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে বারবারই আহ্বান জানিয়ে আসছে সংস্থাটি। তবে তাতে সাড়া মেলেনি।
ইয়েমেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতিই হতে দেখা গেছে শুধু। বেড়েছে মানুষের দুর্দশা। জাতিসংঘ ইতিমধ্যে বলেছে, দেশটির জনগণ বিশ্বের সবচেয়ে মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে আছে। দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে ৫০ লাখ মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়শিবিরে গাদাগাদি করে বসবাসে বাধ্য হয়েছৈ লাখ লাখ মানুষ।