শিরোনাম
অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারও এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব বুঝে নিলো টাটা গ্রুপ। গতকাল ভারত সরকার টাটা গ্রুপের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা হস্তান্তর করেছে। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ বলেন, আবারও এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত।
আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানিয়েছেন এন চন্দ্রশেখরণ। একই সঙ্গে তিনি এয়ার ইন্ডিয়াকে একটি বিশ্বমানের এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত বছর অক্টোবরে এয়ার ইন্ডিয়াকে ১৮ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে টাটার কাছে বিক্রি করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই শুরু হয় বিক্রির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য প্রক্রিয়া। চুক্তি অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং এয়ার ইন্ডিয়া স্যাটসের (‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং’ বা অন্যান্য বিষয় সামলানো হয় যে সংস্থাকে দিয়ে) ৫০ শতাংশ শেয়ারও টাটার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শতভাগ শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং সেই সঙ্গে পরিচালনা ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর হাতে। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের লেনদেন আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্ত হলো।
এর মধ্যে বিপুল লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়ার পুনরুজ্জীবনে একাধিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে টাটা গ্রুপ। সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আনা হয়েছে এর পরিচালনায়।
বর্তমানে ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এয়ার ইন্ডিয়ার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অভ্যন্তরীণ ৪ হাজার ৪শ এবং ১ হাজার ৮শ আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং এবং পার্কিং স্লট। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ৯শটি এমন স্লট এয়ার ইন্ডিয়ার হাতে রয়েছে। এখন টাটার হাতে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ১৪১টি বিমান রয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি বিমান চুক্তিভিত্তিতে অন্য জায়গা থেকে নেওয়া এবং ৯৯টি বিমান তাদের নিজস্ব।
১৯৩২ সালে টাটা এয়ারলাইন্সের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে নাম বদলে করা হয় এয়ার ইন্ডিয়া। পরে ১৯৫৩ সালে এর নিয়ন্ত্রণ নেয় সরকার। তবে জেআরডি টাটা ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত এর চেয়ারম্যানের দায়িত্বেই ছিলেন।