শিরোনাম
২০২১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছুঁয়েছে। ফলে এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশচুম্বী হয়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক ও ভারতে। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো নিউজিল্যান্ডের নাম।
জানা গেছে, গত বছরের শেষের দিকে নিউজিল্যান্ডের বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২১ সালের শেষের তিন মাসে অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির ভোক্তা মূল্যসূচক বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ দশমিক নয় শতাংশে। যা ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময়ের পর সর্বোচ্চ। তবে এ মূল্যসূচক প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দ্য রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউজিল্যান্ড জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে পদক্ষেপ নেবে।
দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, শুধু নিউজিল্যান্ড নয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা এবং উন্নত দেশগুলোতেও সাম্প্রতিক দশকগুলোতে মূল্যস্ফীতি চরম মাত্রায় পৌঁছেছে।
তারা আরও জানায়, অবকাঠামোর নির্মাণ ব্যয় ও বাসাভাড়া অনেকে বেড়েছে। একই সময়ে অর্থাৎ গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে পেট্রলের দামও বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
এদিকে দ্য রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউজিল্যান্ড গত দুই বৈঠকে ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়েছে। তাছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন হলে তারা আরও ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে গত বছর যুক্তরাজ্যে ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। দেশটিতে গত বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে পাঁচ দশমিক চার শতাংশে দাঁড়ায়।
তাছাড়া বছরের শেষের দিকে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও সরবরাহ বিপর্যয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এর ফলে ৪০ বছরে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় বিশ্বের ক্ষমতাধর এ দেশটিতে।
এদিকে ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখেছে তুরস্কও। ভোগ্য পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার পর আন্দোলনে নামে তুরস্কের সাধারণ মানুষ। তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের পদক্ষেপের পর দেশটিতে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হয়।