শিরোনাম
ভারতের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দার্জিলিংয়ে ফের তুষারপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে রয়েছে হালকা বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও। দার্জিলিংয়ের চটকপুর, চিমনিসহ টাইগার হিল, জোরবাংলো, রিম্বিকের বিভিন্ন এলাকা তুষারে ঢাকা পড়েছে। তাছাড়া পাহাড়ের কিছু জায়গায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। ফলে গোটা জেলা তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, প্রতি বছর এই সময় পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকে দার্জিলিং। তবে পর্যাপ্ত তুষারপাত না হওয়ায় পর্যটকরা আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন। কিন্তু এ বছরের শুরু থেকেই পরপর কয়েকবার তুষারপাত হয়েছে। শুধু তাই নয় পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু দার্জিলিং মলের চৌরাস্তায়ও দীর্ঘ কয়েক বছর পর তুষারপাত হয়েছে।
তবে এতো কিছুর মধ্যেও এই মুহূর্তে জায়গাটিতে পর্যটক নেই বললেই চলে। কারণ করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে রাজ্য সরকারের বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে। এরপরই দার্জিলিং ছেড়েছেন পর্যটকরা। ফলে তুষারপাত হলেও সেই অর্থে পর্যটক না থাকায় হতাশ ট্যুর অপারেটররা।
এই মৌসুমে প্রথমে তুষারপাত হয় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। এরপর হয় ২০ জানুয়ারি। তবে আবার বৃহস্পতিবার তুষারের চাদরে ঢেকে যায় দার্জিলিংয়ের একাংশ। এদিন দার্জিলিংয়ের চটকপুর থেকে টাইগার হিল পুরো সাদা হয়ে যায়। তবে এই নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার জন্য পাহাড়ে পর্যটক নেই।
হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, করোনার কারণে গত বছর পর্যটনশিল্পে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এবছর পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম শীতের মৌসুমে তুষারপাতকে কাজে লাগিয়ে বাইরে থেকে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটককে আনবো। যেভাবে এবছর তুষারপাত হচ্ছে তা আগে হয়নি। আবার কবে হবে তাও কারও জানা নেই। তাই এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে আমরা সত্যি হতাশ।
সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েক জায়গায় তুষারপাত হয়েছে। তবে শুক্রবারও পাহাড়ে তুষারপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। তবে এই সপ্তাহে ঠান্ডা এরকমই থাকবে। রাতে তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করবে। এখনই ঠান্ডা চলে যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।