শিরোনাম
ভারতের দিল্লিতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে মাথা ন্যাড়া করে এবং মুখে কালি মাখিয়ে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দিল্লি মহিলা কমিশন এ তথ্য জানায়। অনলাইনে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে চার নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল এক টুইটার পোস্টে জানান, তিনি ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি দিল্লি পুলিশের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এবং আরও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
মালিওয়াল ঘটনার ভিডিওটি শেয়ার করে ওই টুইটার পোস্টে বলেন, কস্তুরবা নগরে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন কয়েকজন অবৈধ মদ বিক্রেতা। পরে তার মাথা ন্যাড়া করে, মুখে কালি মাখিয়ে এবং গলায় জুতার মালা পরিয়ে রাস্তায় হাঁটানো হয়। আমি দিল্লি পুলিশকে নোটিশ জারি করেছি। সব অভিযুক্ত পুরুষ ও নারীকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হবে।
মহিলা কমিশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মালিওয়াল ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে দেখা করলে তিনি তার বাড়ি থেকে অপহৃত হন বলে জানান। এরপর তাকে তিনজন অবৈধ মদ ও মাদক বিক্রেতা দলবেঁধে ধর্ষণ করেন। তিনি আরও জানান, তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়, তার মাথা ন্যাড়া করা হয় এবং জুতার মালা পরিয়ে তাকে রাস্তায় হাঁটানো হয়।
কমিশন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে অতীতের বিশেষ করে তাদের অবৈধ মদ ও মাদক নিয়ে অভিযোগের বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।
কমিশন আরও জানায়, ভুক্তভোগী তরুণীর নিরাপত্তা দিতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজসহ ঘটনায় গৃহীত ব্যবস্থার বিস্তারিত জানিয়ে একটি প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে দিল্লি পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী তরুণীর বোন জানান, প্রতিবেশী এক যুবক গত বছরের নভেম্বরে আত্মহত্যা করেন, সে আমার বোনকে ভালবাসত বলে দাবি করত। তার মৃত্যুর জন্য তার পরিবার আমার বোনকে দোষারোপ করে।
একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আমরা গতকাল জানতে পারি কিছু মহিলা এক তরুণীকে অপহরণ করে, মারধর করে এবং তাকে হুমকি দিয়েছে। আমরা ভুক্তভোগীকে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার করি এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
আমরা গতকাল চারজন এবং আজ একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আরও দুজনকে ধরতে অভিযান চলছে, যারা আগে ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী ছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবি করেছেন ওই তরুণীর কারণে তার ছেলে গতবছরের নভেম্বরে আত্মহত্যা করেছে। আমরা আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত চলছে।
সূত্র: এনডিটিভি