শিরোনাম
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবার রেল ভ্রমণ হতে যাচ্ছে আরও আরামপ্রদ। ক্রমান্বয়ে সরছে পুরনো আইসিএফ কোচ। জায়গা করে নিচ্ছে নতুন প্রযুক্তির এলএইচবি কোচ। এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২৫ জানুয়ারি থেকে আপ ও ডাউন হাওড়া-দিঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসে যুক্ত হয়েছে এলএইচবি বগি। তার আগে ২৪ জানুয়ারি থেকে একই বগি যুক্ত হয়েছে হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে। একই দিনে একই সুবিধা শুরু হয়েছে আপ ও ডাউন হাওড়া-রাঁচি এক্সপ্রেস। আর আজ ২৬ জানুয়ারি থেকে এলএইচবি বগি নিয়ে চলবে হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘দূরপাল্লার ট্রেনে কোচ বদলানোয় আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। ধাপে ধাপে সব কোচ বদল হয়ে যাবে। আমরা যদিও আইসিএফ কোচের সমস্ত ধরণের রক্ষণাবেক্ষণে নজর দিচ্ছি।’
নতুন প্রযুক্তির অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ
এলএইচবি কোচ হচ্ছে ভারতীয় রেলের যাত্রীবাহী কোচ যা জার্মানির লিঙ্কি-হফম্যান-বুশ উৎপাদন করেছে।
২০০০ সাল থেকে ভারতীয় রেলের ব্রড গেজ (১৬৭৬ মিমি) নেটওয়ার্কে এগুলো ব্যবহৃত হয়েছে। শুরুতে শতাব্দী এক্সপ্রেসে ব্যবহারের জন্য জার্মানি থেকে ২৪টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ আমদানি করা হয়েছিল, এরপরে আরসিএফ প্রযুক্তি স্থানান্তরের পরে উৎপাদন শুরু করে। এই কোচের বেশিরভাগ ভারতের কাপুরথালাতে অবস্থিত রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে (আরসিএফ) উৎপাদিত হয়।
আধুনিক এ কোচগুলো ১৬০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত অপারেটিং গতির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ২০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলাচল করতে পারে। এই কোচগুলোর দৈর্ঘ্য ২৩.৫৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩.২৪ মিটার, যার মানে প্রচলিত রেকের তুলনায় এদের রয়েছে উচ্চতর যাত্রীক্ষমতা।
এছাড়াও এসি চেয়ার কারের ভারী ওজন ৩৯.৫ টন ওজনের ছিল। এদেরকে ‘অ্যান্টি-টেলিস্কোপিক’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যার অর্থ মুখোমুখি সংঘর্ষেও এরা উল্টিয়ে যাবে না বা ফ্লিপ করবে না।
এলএইচবি কোচের উন্নত সাসপেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত রেকের তুলনায় যাত্রীদের আরও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করে। এলএইচবি কোচের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরনো রেকের তুলনায় উচ্চতর ক্ষমতা সম্পন্ন এবং তা একটি মাইক্রোপ্রসেসর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা গ্রীষ্ম এবং শীত মৌসুমে যাত্রীদের পুরানো কোচের তুলনায় আরও অধিক আরাম দেয় বলে জানা যায়। এগুলি তুলনামূলকভাবে শান্ত, কারণ প্রতিটি কোচ সর্বাধিক ৬০ ডেসিবেল শব্দ উৎপন্ন করে, যেখানে প্রচলিত কোচ করে ১০০ ডেসিবেল।
দক্ষিণ পূর্ব রেলে সূত্রে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে আইসিএফ কোচ আছে ১২৬০টি। অন্যদিকে এলএইচবি কোচ আছে ১৬৫০টি। দক্ষিণ পূর্ব রেল জানাচ্ছে, আগামী দিনে বাকি সব কোচও এলএইচবি করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার মূল শক্তি রেলপথের উন্নয়ন। ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন মমতা। একাধিকবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মমতা চালু করেছেন বহু নতুন ট্রেনI