শিরোনাম
ন্যাশনাল রেসিসট্যান্স ফোর্স (এনআরএফ) নেতা আহমদ মাসুদ এবার তালেবানের সঙ্গে রাশিয়ায় আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম খামা প্রেস এই খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, এনআরএফ নেতা আহমদ মাসুদ, আমরুল্লাহ সালেহ এবং জমিয়াত-ই ইসলামি আফগানিস্তানের নেতা সালাউদ্দিন রাব্বানী রাশিয়া সফর করবেন। সেখানে তারা তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে বৈঠক করবেন।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি ইরানে তালেবান বিরোধী নেতা আহমেদ মাসুদের সঙ্গে বৈঠক করেন তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী । ওই সময় হেরাত প্রদেশের সাবেক গভর্নর ইসমাইল খানও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়টি তালেবানের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাবিউল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে নিশ্চিত করে বলেছিলেন, মাসুদ ও ইসমাইল খানকে আফগানিস্তানে নিরাপদে ফিরে আসার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখল করে। কিন্তু তালেবানের বিরুদ্ধে জাতীয় অভ্যুত্থানের ডাক দেয় আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জশির প্রদেশের নিয়ন্ত্রণকারী জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্টের কমান্ডার আহমেদ মাসুদ। কিন্তু ২০ দিনের মাথায় তালেবান পাঞ্জশির দখল করে নিলে আহমেদ মাসুদ তাজিকিস্তান পালিয়ে যান।
খামা প্রেসের খবর অনুসারে, রাশিয়ায় ন্যাশনাল রেসিসট্যান্স ফোর্স এবং জমিয়াত-ই ইসলামির নেতারা প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ এবং উপপ্রধানমন্ত্রী আব্দুল গনি বারাদারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
খবরে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে আমরুল্লাহ সালেহ মস্কোতে পৌঁছেছেন। আহমদ মাসুদ এবং সালাউদ্দিন রাব্বানী পরবর্তীতে সেখানে পৌঁছবেন।
আফগানিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান রহমতউল্লাহ নাবিল জানিয়েছেন, তালেবান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব মুজাহিদ এবং মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারও আলোচনার জন্য ইতোমধ্যে মস্কো পৌঁছেছেন।
তালেবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইরানে আলোচনার পর রেসিসট্যান্স ফোর্সের এক সদস্য জানিয়েছিলেন, তারা তালেবানকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (ট্রান্সিশনাল) গঠন করতে বলেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাসুদ বাহিনীর এই সদস্য বলেন, তাদের প্রতি আমাদের প্রস্তাব স্পষ্ট। আমরা তাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছি যাতে; এই সময়ের মধ্যে পরবর্তী সরকার গঠনের কাজ করা যায়। জবাবে তালেবান তাদেরকে ‘আত্মসমর্পণ’ করার প্রস্তাব দেয়। ফলে কোনো ফলাফল ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।