শিরোনাম
জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হেইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লেকচার হলের ভেতরে হামলা চালিয়েছে এক বন্দুকধারী। এতে একজন নিহত এবং আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলা চালানোর পর ওই বন্দুকধারী নিজের বন্দুকের গুলিতেই আত্মহত্যা করেন। খবর বিবিসির।
হামলাকারীর পরিচয় জানা গেছে। ১৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন শিক্ষার্থী। তবে কী কারণে তিনি এই হামলা চালিয়েছেন সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
জার্মানির পুলিশ জানিয়েছে, ওই হামলাকারীর কাছে দুটি বন্দুক ছিল এবং সে একটি লম্বা বন্দুক দিয়ে হামলা চালায়। উদ্ধারকাজ এবং জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত সদস্যরা যেন সহজে চলাফেরা করতে পারেন সেজন্য লোকজনকে ওই ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
জার্মান গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই হামলাকারীর এই হামলা চালানোর পেছনে কোনো ধর্মীয় বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হয়নি।
ম্যানহেইম শহরে ওই ব্যক্তির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এছাড়া তার সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে যেখানে সে লোকজনকে শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর হেইডেলবার্গে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দা রয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতে বন্দুক নিয়ে কঠোর আইন রয়েছে। সেখানে স্কুল বা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা খুবই বিরল।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানায় যে, বন্দুক হামলায় চারজন আহত হয়েছে। পরবর্তীতে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।