শিরোনাম
জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ‘যুদ্ধবাজ’ ও ‘বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়ে দল ছাড়লেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য তুলসী গ্যাবার্ড। তার অভিযোগ, বর্তমান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি একদল ধনী যুদ্ধবাজের হাতে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এ কারণে তিনি আর এই দলের সদস্য থাকতে পারেন না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুসারে, তুলসী প্রথম হিন্দু আমেরিকান হিসেবে ২০২০ সালে বাইডেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েন।
সেই বাইডেনের বিরুদ্ধেই একঝাঁক অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তুলসী। পাশাপাশি, সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন স্বাধীনচেতা ডেমোক্র্যাট নেতাদেরও দলত্যাগ করতে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
তুলসী গ্যাবার্ডের দাবি, বর্তমান মার্কিন সরকার বর্ণবিদ্বেষী কাজ করে। এটি মার্কিন জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করছে। তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক যে অভিযোগ তুলেছেন তিনি তা হচ্ছে, বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে একটি পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এমন ঝুঁকি এর আগে কখনো এতটা ভয়াবহ অবস্থায় ছিল না।
প্রায় আধা ঘণ্টার একটি ভিডিও পোস্ট করে দলত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি বলেছেন, এই ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে তিনি চেনেন না। কারণ এই দল এখন একদল যুদ্ধবাজ ও ক্ষমতাবানদের কুক্ষিগত। এরা প্রতি মুহূর্তে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে বর্ণ বিভাজন তৈরি করে চলেছে। সাধারণ নাগরিকের স্বাধীনতা নষ্ট করে চলেছে। এই দলটি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ঈশ্বরবিশ্বাস বা ধর্মবোধের পরোয়া করে না। পুলিশকে অকারণে ভয় দেখানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে এবং একই সঙ্গে অপরাধীদের পরোক্ষ মদত দেয়।
ডেমোক্র্যাট সরকারকে আক্রমণ করে এই নেতা আরও বলেছেন, এরা সাধারণ মানুষের সরকার নয়। এই দল এবং তার সরকার ক্ষমতাশালী অভিজাতদের হাতে নিয়ন্ত্রিত।
এর আগে বারাক ওবামার সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন তুলসী গ্যাবার্ড। তার অভিযোগ ছিল, মৌলবাদীরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শত্রু তা মানতে চায় না ওবামা সরকার।