শিরোনাম
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো অনেকে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সহযোগী রোস্তিস্লাভ সিরনভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে সিরনভ জানিয়েছেন, হামলার পর ছয়টি গাড়িতে আগুন ধরে গেছে এবং ১৫টির বেশি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, কিয়েভের শেভচেনকিভস্কি জেলায় হামলার পর জরুরি বিভাগের ৩০ কর্মী এবং ৬টি ইউনিট উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে।
এদিকে কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, শহরের বেশ কিছু অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, রুশ সন্ত্রাসীরা রাজধানীতে হামলা চালিয়েছে।
অপরদিকে রাজধানীর আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেকসি কুলেবা বলেন, কিয়েভের ওপর রাশিয়ার বিমান হামলা শেষ হয়নি এবং লোকজনকে অবশ্যই নিরাপদে থাকতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে এক টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছেন, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে অধিকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়াকে সংযোগকারী সেতুর ওপর হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে একে ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা’ বলে বর্ণনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের গোয়েন্দা বাহিনী রাশিয়ার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার ব্যাস্ত্রিকিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন পুতিন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই সেতু বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই সেতুতে একটি লরিতে বিস্ফোরণের সময় ওই তিনজন কাছেই একটি গাড়ির মধ্যে ছিলেন। এতে বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এখানে কোনো সন্দেহ নেই যে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য এটা একটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এই কর্মকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী এবং সুবিধাভোগীরা ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী।
সূত্র: সিএনএন