ইউক্রেন সীমান্তে রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে বেলারুশ

ফানাম নিউজ
  ১০ অক্টোবর ২০২২, ২৩:৫০

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, তিনি দেশটির সেনাদের ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইউক্রেন ও দেশটির সমর্থক পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বেলারুশের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি উল্লেখ করে তিনি এই নির্দেশ দেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের ক্ষমতায় লুকাশেঙ্কোর এই নির্দেশ চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে রাশিয়া ও বেলারুশের সেনারা যৌথ অভিযানে নামতে পারে।

নিরাপত্তা ইস্যুতে আয়োজিত এক বৈঠকে লুকাশেঙ্কো বলেন, বেলারুশের ভূখণ্ডে আক্রমণের বিষয়টি ইউক্রেনে আজ শুধু আলোচনাই করা হচ্ছে না, ইতোমধ্যে পরিকল্পনা করা হয়ে গেছে।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের মনিবরা তাদেরকে দিয়ে বেলারুশের বিরুদ্ধে একটি নতুন যুদ্ধ শুরু করে সেটিতে আমাদের জড়াতে চাইছে।

লুকাশেঙ্কো বলেন, কয়েক দশক ধরে আমরা এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রয়োজন হলে আমরা পদক্ষেপ নেব।

তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে এই পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একটি আঞ্চলিক যৌথ সামরিক গ্রুপ মোতায়েনের বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে তিনি একমত হয়েছেন। দুই দিন আগে সেনারা জড়ো হতে শুরু করেছে।

দৃশ্যত শনিবার রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়াকে সংযোগকারী একমাত্র সেতুতে হামলার পর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

লুকাশেঙ্কো বলেছেন, অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে বেলারুশের কাছে একটি সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে যে ইউক্রেন ক্রিমিয়ার আরেকটি সেতুতে হামলার পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি বিস্তারিত জানাননি।

তিনি বলেন, আমার জবাব একেবারে সোজাসাপ্টা, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও অপর উন্মাদদের বলে দিন: তারা যদি আমাদের ভূখণ্ডের এক মিটারও স্পর্শ করে তাহলে ক্রিমিয়া সেতুতে হাঁটা তাদের কাছে মনে হবে পার্কের মতো।  

বেলারুশের সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। এই বছরের শুরুতে দেশটি ৬ ব্যাটালিয়ন-ট্যাকটিক্যাল গ্রুপ, সব মিলিয়ে কয়েক হাজার সেনা, সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করেছে।

রবিবার বেলারুশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান অভিযোগ করেছেন, সীমান্তে উসকানি দিচ্ছে ইউক্রেন।  

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর জন্য বেলারুশের ভূখণ্ডকে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করেছে রাশিয়া। বেলারুশের ঘাঁটি থেকে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে সেনা ও সামরিক পাঠানো হয়।