শিরোনাম
ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতার মাধ্যমে চলমান সংঘাতে সরাসরি প্রতিপক্ষ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র হাজির হবে বলে হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। কিছু দিন আগে দেওয়া এই হুমকির পর যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে তারা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তনভ বলেছেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো সামরিক সহযোগিতার কারণে সেখানে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
আনাতোলি আন্তনভ বলেছেন, মস্কোর জন্য এটি একটি আসন্ন হুমকি। ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহযোগিতাকে সংঘাতে অংশগ্রহণকারী হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৬২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ছয় হাজার ২৫৭ কোটি ৭৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সাফল্যের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো অত্যাধুনিক অস্ত্রকে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী।
রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউজ বলেছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার একমাত্র সংযোগ সেতুতে বিস্ফোরণ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি-কে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, সেতুতে বিস্ফোরণের খবরের বিষয়ে আমাদের কাছে যুক্ত করার মতো কোনও তথ্য নেই। আমি যা বলতে পারি তা হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধ শুরু করেছেন। তিনি চাইলে আজকেই এই যুদ্ধের অবসান করতে পারেন সেনাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে।
কিরবি বলেছেন, উভয় পক্ষের উচিত যুদ্ধ অবসানে আলোচনার একটি পথ খুঁজে বের করা। কিন্তু এমনটি করার জন্য পুতিন কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
কিরবি বলেন, পুতিন উল্টোটা করছেন। লাখো রিজার্ভ সেনাকে তলব করা হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে দখলকৃত ভূখণ্ডকে রাশিয়ার অংশ করা হয়েছে। তিনি যুদ্ধ আরও বিস্তৃত করার আভাস দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এই কারণে আমরা ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি এবং আমরা তাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা অব্যাহতভাবে দিয়ে যাবো।
মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এখনও কোনও ইঙ্গিত নেই যে পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান বদলেরও কোনও কারণ নেই।
কিবরি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বর্তমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। যখন কারও কাছে অত্যাধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র থাকে এবং পুতিন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার সঙ্গে যে বাগাড়ম্বর শুরু করেছেন তা পরিস্থিতি যে ভয়াবহ তা তুলে ধরতে চেয়েছেন বাইডেন।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, আমরা কেনেডি এবং কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর এ ধরনের বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে পড়িনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমি মোটামুটি চিনি। তিনি যখন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র, জৈবিক বা রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের হুমকি দেন তখন মোটেই তামাশা করছেন না।