শিরোনাম
করোনায় পুরো বিশ্ব ছিল অনেকটাই বেসামাল। কিছুটা চাপ সামলে উঠার পর আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য হার নির্ধারণ করেছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কিন্তু বাস্তবে তা অনেক কম হওয়ায় একটি বড় বৈশ্বিক মন্দা অবশ্যম্ভাবী বলে শঙ্কা করেছে সংস্থাটি। খবর-এপির।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এ আশঙ্কা জানিয়েছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
সভায় তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের শুরুতে আমরা আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম, বাস্তব বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে তা এ পর্যন্ত তিন বার কমাতে হয়েছে।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, বিভিন্ন দেশ মহামারির প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেওয়ার পর চলতি ২০২২ সালের শুরুতে আমাদের আশা ছিল, আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার হবে অন্তত ৩ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু গত কয়েক মাসের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা তিনবার সংশোধন করেছি। এখন আমরা ধারণা করছি, আগামী বছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধির হার থাকবে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যে মন্দাভাব শুরু হয়েছে এবং দিন দিন তার ঝুঁকি বাড়ছে। আমরা দেখছি, একদিকে ডলারের মূল্য বাড়ছে, আবার অন্যদিকে জ্বালানি তেলের বাজারে ইতোমধ্যে মন্দা শুরু হয়ে গেছে। তেলের দাম কমতে থাকলেও ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় অনেক দেশ তেল কিনতে পারছে না।
ক্রিস্টালিনা বলেন, ফলে পৃথিবীজুড়ে অর্থনীতির চাকা ঠিকমতো সচল হচ্ছে না। যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আগামী দুই বছর বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ দেশের অর্থনীতির সংকোচন অব্যাহত থাকবে। ফলে আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উৎপাদন কমবে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ; এবং এই ঘাটতি খুব দ্রুত পূরণ সম্ভব হবে বলে আমাদের মনে হচ্ছে না।