শিরোনাম
২০১৭ সালের পর প্রথমবার জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।- খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এটি মধ্যম লক্ষ্যবস্তুর ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রায় চার হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরত্বের এ ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের ওপর দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে।
উত্তর কোরিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার সতর্কতা জারি করা হয়। উত্তর কোরিয়ার আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। তিনি এ ঘটনাকে বর্বরতা বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এ পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে। তিনটি দেশই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টা কঠোর জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ইয়োনহাপ এজেন্সি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র দুটি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমের ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে ছুড়েছে। উত্তর কোরিয়ার উসকানি প্রতিরোধে এগুলো দ্বারা জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিত্রতার সক্ষমতা দেখানো হয়েছে।
উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে সামরিক মহড়া দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এ মহড়ায় আটটি যুদ্ধবিমান ছিল। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিত্র দুটি দেশ এ মহড়া দেয়।
চলতি বছর নিষিদ্ধ আন্তঃদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং। কয়েকটি আগেও উত্তর কোরিয়া নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে।
এদিকে, বুধবার সকাল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি। বিশ্লেষকরা বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি হাওয়াসং-১২ হতে পারে। এটি ২০১৭ সালে একবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। এটির মাথায় পরমাণু সংযুক্ত থাকে।