শিরোনাম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বৈশ্বিক প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এই ধারা ২০২৩ সালেও অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ রাশিয়া গ্যাসের সরবরাহ সীমাবদ্ধ করেছে। তাছাড়া সঞ্চয় পদক্ষেপ ও উচ্চ মূল্যের কারণে গ্যাসের ব্যবহার কমিয়েছে ইউরোপ। আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
আইইএ জানায়, ২০২২ সালে বৈশ্বিক গ্যাসের ব্যবহার কমতে পারে শূন্য দশমিক আট শতাংশ। ইউরোপে গ্যাসের ব্যবহার কমতে পারে রেকর্ড ১০ শতাংশ। তবে এশিয়া-প্যাসিফিকে ব্যবহার স্থিতিশীল থাকবে। কিন্তু ২০২৩ সালে ব্যবহার বাড়তে পারে মাত্র শূন্য দশমিক চার শতাংশ।
আইইএ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার ভবিষৎ পদক্ষেপ ও জ্বালানির দাম বাড়ায় অর্থনীতির ওপর প্রভাবের কারণে এখনো উচ্চমাত্রার অস্থিতিশীলতা রয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এরপর দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপ। এর পাল্টা পদক্ষেপে অঞ্চলটিতে গ্যাসের সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমিয়েছে রাশিয়া। এতে ভোক্তা, ব্যবসা ও সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চলমান ইস্যুতে যে শুধু ইউরোপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, প্রভাব পড়েছে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতেও।
রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করে মূলত নর্ডস্ট্রিম-১ দিয়ে। সম্প্রতি এ লাইনে লিকেজ ধরা পড়েছে। যদিও রাশিয়া এ পথে আগেই গ্যাসের সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।