শিরোনাম
ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের ছোট একটি গ্রাম। নাম- তুলসি। বিশ্বের কাছে ‘ইউটিউব গ্রাম’ নামেই এখন বেশি পরিচিত। এ গ্রামের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে। তারা এভাবে ব্যাপক অর্থ আয় করে থাকেন।
বর্তমান বিশ্বে অনলাইন ভিডিও কনটেন্ট ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সারা বিশ্বের লাখো মানুষ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভিডিও কনটেন্ট তৈরির এ প্লাটফর্মে কাজ করছে। তুলসি গ্রামের মানুষরাও আছেন এ প্রতিযোগিতার দৌড়ে। গ্রামটিতে প্রায় ৩০০ জন মানুষের বসবাস। তাদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ইউটিউবে কাজ করে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই এর আগে জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষি কাজ করতো। তারা যখন জানতে পারে তাদের মতোই কিছু কৃষক কৃষি কাজ করে যে অর্থ আয় করে তার তুলনায় প্রায় দ্বিগুন কি তিনগুন অর্থ ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে আয় করছে তখন থেকে তারাও এ কাজে আগ্রহী হন। তারা বুঝতে পারেন এই হলো তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের অন্যতম বড় সুযোগ।
ভারতের এই ইউটিউব গ্রামটিতে সর্বপ্রথম যাদের হাত ধরে ইউটিউবের ভিডিও চালু হয় তারা মুলত দুজন বন্ধু। ইউটিউবে নিজের কেরিয়ার গড়ার আগে তাদের মধ্যে একজন ছিলেন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্য জন ছিলেন একজন শিক্ষক। তারা প্রতিনিয়ত ভিডিও তৈরির কাজ করার জন্য তাদের পেশা ছেড়ে সম্পূর্ণ সময়টা ভিডিও তৈরিতে দিয়েছে। যখন ইউটিউব থেকে তাদের সফলতা আসতে শুরু করে এ খবর তাদের গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যরাও এ কাজে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
এ দুই বন্ধুদের মধ্যে একজনের নাম শুকলা। তিনি জানান, আমি এসবিআই এ একজন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতাম। আমাদের আফিসের ইন্টরনেট সংযোগ ছিলো খুবই দ্রুতগতিসম্পন্ন। আমি সেখানেই মুলত ইউটিউব দেখতাম। ২০১১-২০১২ সালে ইউটিউবের নতুন ভ্যারশন চালু করা হয় । সে সময়ে খুবই কম চ্যানেল ছিলো ইউটিউবে। তাছাড়া আমি ওই সময়ে আমার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একঘেয়ে কজের ওপর থেকে আগ্রহও হারিয়ে ফেলে ছিলাম ।
বর্তমানে তুলসি গ্রামটির ৪০ শতাংশ মানুষ ইউটিউবের মতো প্লাটফর্ম যেমন টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করছে। গ্রামের ১৫ বছর বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত এ কজে যুক্ত রয়েছে। তাদের গ্রামের বেশির ভাগ চ্যানেলে কমেডি, গান-বাজনা, শিক্ষা এবং হাতে তৈরি জিনিস-পত্র নিয়ে ভিডিও তৈরি করা হয়। গ্রামটির সব থেকে বিখ্যাত ব্যাক্তির ইউটিউবে ১ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে।