শিরোনাম
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ’র গোপন নথিপত্র প্রকাশ করা এডওয়ার্ড স্নোডেনকে সোমবার রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে৷ ২০২০ সালে তিনি রাশিয়ায় স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন৷
স্নোডেনসহ ৭২ জন বিদেশিকে রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়ার ডিক্রিতে সোমবার সই করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ পরে ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়৷
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলছেন, স্নোডেনের মার্কিন নাগরিকত্বে কোনো পরিবর্তন এসেছে কি না, সে ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না৷
তবে ২০২০ সালে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন করার কথা জানিয়েছিলেন স্নোডেন৷ সোমবার এক টুইটে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি৷
স্নোডেন সম্পর্কে ওয়াশিংটনের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস৷ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে স্নোডেনকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে বলা হয়েছে৷ ন্যায্য বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন বলে ২০১৯ সালে জানিয়েছিলেন স্নোডেন৷
২০১৩ সালে রাশিয়ায় আশ্রয়ের আবেদন করেন স্নোডেন৷ তখন থেকে সেখানেই বাস করছেন৷ মাঝে মধ্যে রুশ সরকারের সামাজিকমাধ্যম নীতি নিয়ে তাকে সমালোচনা করতে দেখা গেছে৷
বর্তমানে ৩৯ বছর বয়সি স্নোডেনের স্ত্রী মার্কিন নাগরিক লিন্ডসে মিলও রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নভস্তিকে জানিয়েছেন স্নোডেনের আইনজীবী৷
২০০৯ সালে এনএসএতে প্রাইভেট কন্ট্রাক্টর হিসেবে যোগ দেন স্নোডেন৷ তখন থেকে তিনি এনএসএ’র কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন৷ এরপর ২০১৩ সালের মে মাসে অসুস্থতাজনিত ছুটি নিয়ে হংকং যান স্নোডেন৷ সেখানে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ পরে স্নোডেনের দেওয়া তথ্য দিয়ে গার্ডিয়ান অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ পরে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র ও জার্মানির ডেয়ার স্পিগেলেও স্নোডেনের তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷
ইউরোপীয় বিভিন্ন অফিস ও তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ফোনে আড়ি পেতে এনএসএ তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়৷
২০১৫ সালে জার্মান প্রসিকিউটররা ম্যার্কেলের ফোনে আড়িপাতা সংক্রান্ত মামলা খারিজ করে দেন৷ ‘অপরাধ আইনের অধীনে অভিযোগ খুব ভালোভাবে প্রমাণ করা যায়নি’ এই কারণ দেখিয়ে মামলাটি খারিজ করা হয়েছিল৷
এনএসএতে কাজ করার আগে স্নোডেন তিন বছর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএতে কাজ করেন৷
সৌজন্যে : ডয়চে ভেলে