শিরোনাম
রাশিয়ায় যোগদানের জন্য ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে গণভোট শুরু হয়েছে আজ। লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ায় আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই গণভোট চলবে।
যে চার অঞ্চলে গণভোট হচ্ছে, তা ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের প্রায় ১৫ শতাংশ। এর আয়তন হাঙ্গেরির সমান।
গণভোটকে রাশিয়ার উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসব অঞ্চলের রুশপন্থীরা এই গণভোটে সমর্থন দিয়েছে। গণভোটকে প্রহসন বলে অভিহিত করেছে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।
পশ্চিমারা বলছে, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। এই পদক্ষেপ যুদ্ধকে আরও তীব্রতর করবে।
ইউক্রেন এবং দেশটির মিত্ররা স্পষ্টভাবেই ঘোষণা করেছে, গণভোটের ফলাফল যেটিই হোক তারা সেই ফলাফলকে স্বীকৃতি দেবে না।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। সাত মাস ধরে এই যুদ্ধ চলছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে হেরে যায় রুশ বাহিনী। তারপরই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত চার অঞ্চলের মস্কো-সমর্থিত নেতারা গণভোট ডাকেন।
আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত গণভোট চলার পর দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে। গণভোটের ফল পক্ষে এলে ইউক্রেনের অঞ্চল চারটিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পুতিন।
ওদিকে, ইউক্রেনে নতুন করে সেনা পাঠাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ‘সামরিক সংহতিকরণ’ বা সামরিক বাহিনীর সেনাসংখ্যা বাড়াতে সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাশিয়ার অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর জন্যও পুতিন বাড়তি অর্থ বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুতিনের এই ঘোষণায় প্রমাদ গুনছে পশ্চিমা বিশ্ব। আশঙ্কা করা হচ্ছে পুতিন হয়তো সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ আরো জোরদার করতে পারেন। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন।