শিরোনাম
জন্মলগ্ন থেকে সমাজ সভ্যতার চাকা পুরুষের পাশাপাশি সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নারীরা। নারীরাও ঘরের গণ্ডি পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আপন মহিমায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজও কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নারীরা। পুরুষের সমান কাজ করেও নারীরা বেতন-বৈষম্যের শিকার বলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সমবেতন দিবসে (ইক্যুয়াল পে ডে) বেতন-বৈষম্য দূরীকরণ অভিযান শুরু করল লিঙ্গ-সাম্য ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের নিজস্ব সংগঠন ‘ইউ উইমেন’ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আইএলও-র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব জুড়েই কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম উপার্জন করেন নারীরা। বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টও বলছে, কেবলমাত্র লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষদের উপার্জনের ক্ষেত্রে বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে।
সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিভিন্ন সংস্থা সামাজিক দায়বদ্ধতার আইনের বাধ্যবাধকতার জন্য নারীদের নিয়োগ করছে। কিন্তু বেতনে বৈষম্য থাকছে। বাড়তি কাজ করানো হচ্ছে নারীদের দিয়ে, যা তৈরি করছে বৈষম্যের নতুন সমীকরণ।
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অশিক্ষা নয়, লিঙ্গবৈষম্যর কারণে কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছেন ভারতীয় নারীরাও।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার একটি নতুন সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীদের নিয়োগে যে ব্যবধান দেখা যায়, ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে তার কারণ লিঙ্গবৈষম্য। পুরুষদের সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতীয় নারীরা লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হন।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কর্মক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্ব বাড়লে এই বৈষম্য কমতে পারে। কাজের বাজারে অংশগ্রহণ কম হওয়ায় বেতন নিয়ে নারীরা দরাদরির সুযোগ পাচ্ছেন না। সে কারণে বৈষম্য বেড়েই চলেছে।