আফগানিস্তানের পাঞ্জশিরে ফের শুরু লড়াই, নিহত ৪০

ফানাম নিউজ
  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:১৫

এক বছর পরে ফের লড়াই শুরু হল পাঞ্জশিরে। গত বুধবার থেকে উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের ওই অঞ্চলে ‘ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (প্রচলিত নাম নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স)–এর যোদ্ধাদের সঙ্গে তালেবান বাহিনীর নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। তালেবানের দাবি, ইতিমধ্যেই নর্দার্ন অ্যালায়্যান্সের অন্তত ৪০ জন যোদ্ধা সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। রেকা, ডেরা এবং আফসার এলাকায় অভিযানে নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স যোদ্ধাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তালেবানের সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে তালেবানের কাবুল দখলের পরেও বেশ কয়েক মাস প্রতিরোধ চালিয়েছিলেন নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা আহমেদ মাসুদ। তার সহযোগী ছিলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্‌। যদিও শেষ পর্যন্ত পাহাড়ে ঘেরা পঞ্জশির উপত্যকা কব্জা করেছিল তালেবান।

সে সময় নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স অভিযোগ তোলে, সেখানে তালেবানের হয়ে লড়াইটা লড়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রি’ (এনএলআই) এবং এলিট ‘স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ’ (এসএসজি) কমান্ডোরা। তাদের সাহায্য পাওয়ার ফলেই পাহাড়ের যুদ্ধে অপটু তালেবানের পক্ষে ‘দুর্গম’ পঞ্জশিরে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। অতীতে কার্গিলের যুদ্ধে লড়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই দুই বাহিনী।

মাসুদের বাবা আহমেদ শাহ মাসুদ প্রায় ২৫ বছর আগে তালেবান বিরোধী নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স-এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে সময় পঞ্জশিরের দখল নিতে পারেনি তালেবান। ২০০১-এ যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার দুদিন আগে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে আল কায়দার মানববোমা হামলায় তিনি নিহত হন। পঞ্জশির উপত্যকায় এখনও মাসুদের অনুগত কয়েক হাজার তাজিক মিলিশিয়া যোদ্ধা রয়েছে। এ ছাড়া কিছু দলছুট আফগান সেনাও রয়েছেন নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স বাহিনীতে। তালেবানের দাবি, মাসুদ এখন সীমান্তের ওপারে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন।