শিরোনাম
নিজের সন্তান হবে না। তাই গর্ভবতী বান্ধবীকে মেরে তার গর্ভ থেকে বাচ্চা চুরির অভিযোগে টেক্সাসে এক মার্কিন নারীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
২৯ বছর বয়সী ওই নারীর নাম টেলর পার্কার। নিজ বান্ধবী ২১ বছর বয়সী সিমন্স-হ্যানকককে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে পার্কারের। বান্ধবীর গর্ভ থেকে সে যে বাচ্চাটি বের করে নিয়েছিল সেই বাচ্চাটিও বাঁচেনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার ইউকে এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রেমিকের কাছে সন্তানসম্ভাবা সাজতে মাসের পর মাস গর্ভবতীর ছদ্মবেশে ছিলেন পার্কার। কারণ তার নিজের বাচ্চা ধারণের ক্ষমতা ছিল না।
প্রসিকিউটররা জানায়, পার্কার তার প্রেমিককে হারানের ভয়ে গর্ভবতীর বেশ ধারণ করে। সে তার প্রেমিককে বোঝাতে চেয়েছিল যে, তার পেটে প্রেমিকের সন্তান বেড়ে উঠছে।
সেভাবেই চলছিল সবকিছু। কিন্তু কতদিনই বা গর্ভবতী সেজে ঘোরা যায়। তাছাড়া সন্তান প্রসবের সময়ও ঘনিয়ে আসছিল। তাই ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর পার্কার তার বান্ধবী সিমন্স-হ্যানককের বাড়িতে যায়। তখন সিমন্সেরও সন্তান প্রসবেরও সময় হয়ে এসেছিল।
ওইদিন পার্কার তার বান্ধবীকে শতাধিকবার ছুরিকাঘাত করে। তারপর ভ্রুণ কেটে গর্ভের বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যায়। তখন সিমন্স-হ্যানককের অন্য সন্তান পাশের রুমে ঘুমাচ্ছিল।
ভ্রুণ কেটে বের করা বাচ্চাটিকে নিজ কোলে নিয়ে গাড়ি ছুটিয়ে পালাচ্ছিল পার্কার। কিন্তু কিছু দূর যেতেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। তখন সে পুলিশকে জানায়, সন্তানটি সদ্য প্রসব করেছে সে। তখনই বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। যদিও তাকে বাঁচানো যায়নি।
স্থানীয় টেলিভিশন কেটিএএল-এর খবরে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার অন্তত এক মাস ধরে চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। গেল মঙ্গলবার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে যে, হত্যাকাণ্ডের কয়েক সপ্তাহ আগে পার্কার গর্ভবতী নারীরা সচরাচর যেখানে যান যেমন- বাচ্চাদের পোশাকের দোকান কিংবা হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
প্রসিকিউশনের অভিযোগ উদ্ধৃত করে খবরে আরো বলা হয়, ওইদিন সিমন্সের ওপর হামলা চালানোর কিছুক্ষণ আগে পার্কার সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের ভিডিও দেখেছিলেন।