শিরোনাম
স্পেনের বৃহত্তম ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইউরো উইকলি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ঠিক কবে এবং কখন তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ইউরো উইকলি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাশিয়ার স্বতন্ত্র টেলিগ্রাম চ্যানেল জেনারেল এসভিআর পুতিনকে গুপ্তহত্যার চেষ্টার তথ্য প্রকাশ করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
অতীতেও রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্টকে একাধিকবার গুপ্তহত্যার চেষ্টা হয়েছিল। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো পুতিন স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি অন্তত পাঁচবার গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন।
টেলিগ্রাম চ্যানেলটির বরাত দিয়ে ইউরো উইকলি বলেছে, পুতিনকে বহনকারী লিমোজিন গাড়ির সামনের বামপাশের চাকায় বিকট শব্দ হয়েছিল। ধোঁয়া বের হওয়ার পরও গাড়িটি দ্রুত নিরাপদে চলে যায়।
তবে এই ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট অক্ষত ছিলেন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ওই ঘটনার পর কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়ার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউজ অস্ট্রেলিয়াও পুতিনকে হত্যাচেষ্টার ওই ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মোটর শোভাযাত্রায় করে তার সরকারি বাসভবনে ফিরছিলেন। ফেরার পথে বাসভবন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পুতিনের গাড়িবহরের প্রথম গাড়িটিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স বাধা দেয়। পরে গাড়িবহরের দ্বিতীয় গাড়িটি না থেমে চারপাশে চক্কর দেয়। এই ঘটনার সময় গাড়িবহরে বাধা দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে একজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
তবে কোনও ধরনের সূত্র উল্লেখ না করে টেলিগ্রাম চ্যানেল জেনারেল জিভিআর বলেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের দেহরক্ষী দলের প্রধান এবং আরও কয়েকজনকে বরখাস্ত এবং নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। দেহরক্ষীদের মধ্যে কেবল অল্প কয়েকজনই পুতিনের চলাফেরার ব্যাপারে জানতেন এবং তারা সবাই প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা সার্ভিসের সদস্য।
জিভিআর বলেছে, ওই ঘটনার পর দেহরক্ষীদের মধ্যে তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। এই দেহরক্ষীরা প্রেসিডেন্টের গাড়িবহরের প্রথম গাড়িতে ছিলেন। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রথম গাড়িটি খালি অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাশিয়ার একদল রাজনীতিক প্রেসিডেন্ট পুতিনের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনতে রুশ সংসদের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
রাশিয়ার একজন ডেপুটি বলেছেন, সেন্ট পিটার্সবার্গ, মস্কো এবং অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলের অন্তত ৬৫টি পৌরসভার প্রতিনিধিরা পুতিনের পদত্যাগের দাবিতে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। গত সোমবার এই পিটিশন প্রকাশ করেছেন দেশটির ওই রাজনীতিকরা। এমন দাবির মাঝেই পুতিনকে হত্যাচেষ্টার খবর আসল পশ্চিমা গণমাধ্যমে।