শিরোনাম
সর্বাধুনিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়াকে সহজ করা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ শুধু ২০২১ সালেই তিন কোটি ৩৫ লাখ নতুন গ্রাহক পেয়েছে। এর মাধ্যমে ডাক বিভাগের আর্থিক সেবাটি দেশের সেবাখাতে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। সূত্র: আরটিভি
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে গড়ে প্রতিদিন ৯৪ হাজার জনের বেশি নতুন গ্রাহক ‘নগদ’-এর নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। তাতে সর্বশেষ হিসেব অনুসারে ‘নগদ’-এ নিবন্ধিত গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখ। মূলত ‘নগদ’ এর আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী সব সেবা এবং সহজ অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতির কারণেই দূর প্রান্তের মানুষটিও সহজে ডিজিটাল সেবায় যুক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, “শুরুর পর থেকেই দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে বিপ্লব নিয়ে এসেছে ‘নগদ’। গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রাহকবান্ধব, সহজ ও সাশ্রয়ী সেবার কারণে তিন বছর হওয়ার আগেই ‘নগদ’ এখন দেশ সেরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস। সামনের দিনে ‘নগদ’ আরও অনেক নতুন সেবা দিয়ে সবাইকে চমকে দেবে এই প্রতিশ্রুতি আমরা দিতে পারি।”
শুধু *১৬৭# ডায়াল করে গত এক বছরে ‘নগদ’-এ যুক্ত হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ মানুষ, যা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে অ্যাকাউন্ট খোলার নতুন একটি রেকর্ড। ফলে দেশে প্রযুক্তি ব্যবহারে মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির উজ্জ্বল একটি উদাহরণ তৈরি করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
‘নগদ’-এর অন্যতম সেরা উদ্ভাবন *১৬৭# ডায়াল করে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি গত এক বছরে গোটা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল খাতের চেহারাই বদলে দিয়েছে। এই উদ্ভাবনের ফলে দেশের সাধারণ মানুষ এখন যেকোনো অপারেটর থেকে শুধু *১৬৭# ডায়াল করে চার ডিজিটের পিন সেট করলেই মুহূর্তে যুক্ত হতে পারছে ‘নগদ’-এ। এই প্রক্রিয়ায় বছরের শুরুর দিকে কোনো কোনো দিন দুই থেকে আড়াই লাখ মানুষও ‘নগদ’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ‘নগদ’-এর এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বেশ সাড়া ফেলেছে এবং একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মাননাও অর্জন করেছে।
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের দুই দিকের ছবি তুলে আপ করার (ই-কেওয়াইসি) মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া দেশে প্রথম চালু করে ‘নগদ’। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রক্রিয়ায় নিজেরে অ্যাকাউন্ট খুলে ‘নগদ’-এর উদ্বোধন করেন। শুরুর দিকে অনেকে সমালোচনা করলেও পরে এমএফএস অপারেটর, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও এই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে অ্যাকাউন্ট খুলতে শুরু করে। চলতি বছর এই প্রক্রিয়ায় ৩৫ লক্ষ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ‘নগদ’-এ।
অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সহজ করায় গ্রাহক পর্যায়ে দিন দিন বাড়ছে ‘নগদ’ ব্যবহারের প্রবণতা। তাই বাংলাদেশে ‘নগদ’ অ্যাপ ডাউনলোডের পরিমাণও বেড়েছে বহুগুণ। ফলশ্রুতিতে বছরের বিভিন্ন সময়ে প্লে স্টোরগুলোতেও ‘নগদ’ অ্যাপ জায়গা করে নিয়েছে টপ চার্টে।
পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতাসহ সরকারের অন্যান্য ভাতা বিতরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটরটি। প্রান্তিক পর্যায়ে ভাতা ভোগীদের কাছে তাদের প্রাপ্য ভাতা বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে ‘নগদ’। এই প্রক্রিয়ায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় আরও ৯৮ লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট নগদে যুক্ত হয়েছে।
গত অর্থ বছরে সরকার এমঅফএস অপারেটরদের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ৫ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, যার ৭৫ শতাংশ বিতরণ করেছে ‘নগদ’।