শিরোনাম
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে বা ওয়েবে পাওয়া যায় না এমন কিছু নেই। কিন্তু সীমাহীন তথ্যের খনি ইন্টারনেটের আমরা মাত্র ১ শতাংশই ব্যবহার করে থাকি। যেটা হলো সারফেস ওয়েব। যার নিচেই লুকিয়ে আছে ডিপ ওয়েব, যা চাইলেই নাগালে পাওয়া যায় না। সম্প্রতি দেশে ডার্কওয়েবের ব্যবহার বেড়েছে এর মাধ্যমে নানারকম অপরাধ ও অপকর্ম সংঘটিত হচ্ছে।
ডার্কওয়েবে এমন কিছু কাজ হয়, যেসব সার্ফেস ওয়েবে করা হয় না। সাধারণত অবৈধ কাজ করার, অবৈধ সেবা নেওয়ার, ফাঁসকৃত ডকুমেন্টস বেচাকেনার জায়গা এটা। কারণ ডার্কওয়েবে আপনার পরিচয় গোপন থাকছে আর, ক্রিপ্টোকারেন্সি খরচ করার সবচেয়ে ভালো জায়গা এ ডার্কওয়েব।
নিষিদ্ধ মাদকের কারবারি, অবৈধ পণ্য, অস্ত্র বিক্রি, কম্পিউটার হ্যাকার, জঙ্গিবাদের কার্যক্রম, মুদ্রা আদান-প্রদান, ক্লোনিং, স্ক্যামিং, অবৈধ পর্নোগ্রাফি, রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কেন-বেচা, এমনকি ভাড়াটে গুন্ডারাও সেখানে তাদের কাজের বিজ্ঞাপন দেন আইনের আড়ালে থেকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে অনলাইনে বায়না দিয়ে ডার্কওয়েবের মাধ্যমে বিটকয়েন দিয়ে মূল্য পরিশোধ করে পোল্যান্ড থেকে এলএসডি ও ডিওবি’র মতো মাদক দেশে আনা হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
২৩ নভেম্বর বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান। রাজধানীর তেজগাঁও থেকে নতুন মাদক ‘ডিওবি’ জব্দ করেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করার পর আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে খুলনা মহানগরীর বয়রা মুজগুন্নী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আসিফ আহমেদ শুভ ও অর্ণব কুমার শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়। শুভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী। অর্ণব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র।
শুভ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, দেশের বাইরে থেকে কয়েকশ ডিওবি আনিয়েছে। সিমকার্ডের মতো দেখতে ডিওবি মাদকটি এলএসডির মতোই জিহ্বায় রেখে সেবন করতে হয়। ডার্কওয়েব ব্যবহার করে বিটকয়েন দিয়ে দাম পরিশোধ করে পোল্যান্ড থেকে এসব মাদক সংগ্রহ করা হয়।