শিরোনাম
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুরোনো ও নষ্ট ইলেকট্রনিক পণ্য কেনেন হকাররা। তবে এসব নষ্ট ও পুরোনো ইলেকট্রনিক পণ্য দেশে রিসাইকেলের ব্যবস্থা না থাকায় বিদেশে চলে যাচ্ছে। কারণ এসব ইলেকট্রনিক পণ্য বা ই-বর্জ্যে রয়েছে মূলবান সোনা ও রুপাসহ বিভিন্ন উপাদান। সেজন্যই পুরনো ইলেকট্রনিক পণ্যের চাহিদা বেড়েছে বিদেশে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে মোবাইল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। তবে পুরোনো ইলেকট্রনিক বিভিন্ন পণ্য দেশেই রিসাইকেলের ব্যবস্থা থাকলে বিদেশে যেত না। দেশীয় কোম্পানি রিসাইকেলের দিকে এগোলে ই-বর্জ্যের মূল্যবান ধাতু দেশেই থাকতো।
ইলেকট্রনিক বর্জ্য কয়েকটি প্রক্রিয়ায় আলাদা আলাদা করা হয়। এরমধ্যে যন্ত্রাংশ আলাদা করা এবং ধাতু আলাদা করা হয়। ইলেকট্রনিক বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে শত শত টন ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ও র্যাম দেশের বাইরে রপ্তানি করছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটের) গবেষণা বলা হয়েছে, এক টন পিসিবি ও র্যাম থেকে প্রায় ৬০০ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য ১৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এছাড়াও ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে সোনার পাশাপাশি রুপা ও কপারসহ বিভিন্ন ধরনের ধাতু সংগ্রহ করা হয়।