শিরোনাম
প্রযুক্তির যুগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করছেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহারের বিকল্প কিছুই নেই। বিভিন্ন ডিভাইসও নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়।
ফোনের তথ্য, ছবি, ফাইল সুরক্ষায় প্যাটার্ন বা পিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। এরপরও হ্যাকারদের হাত থেকে এসব ব্যক্তিগত জিনিস সুরক্ষিত রাখা যায় না। ডেটা সুরক্ষিত রাখতে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা প্রয়োজন। আপনার পাসওয়ার্ড যত বেশি শক্তিশালী এবং গোপনীয় হবে, আপনার ডেটা তত বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
তবে অনেকেই বছরের পর বছর একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। এটি কিন্তু ঠিক নয়, কিছুদিন পর পরই ফোনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক কতদিন পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করবেন-
এমসিফির রিপোর্ট এবং সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, প্রত্যেক ব্যক্তির ৯০ দিন বা ৩ মাস পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। অর্থাৎ এই সময় পরে আপনি মোবাইল, ব্যাংক, সোশ্যাল মিডিয়াসহ সবকিছুর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। যাতে কেউ আপনার ডেটা, অর্থর ধারে কাছেও না আসতে পারে। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করে থাকেন, তবে এখনই করে ফেলুন।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি মাসে বা ২ মাস পর ফোনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন। একই পাসওয়ার্ড দীর্ঘদিন ধরে রাখলে, তা হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেড়ে যায়। আর যদি মনে করেন যে, বার বার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করলে আপনি ভুলে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে কোথাও লিখে রাখুন। তবে পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
অনেকেই ফোনে পাসওয়ার্ড হিসেবে জন্ম তারিখ, নাম বা ফোন নম্বর দিয়ে থাকেন। এটি কিন্তু একেবারেই করবেন না। আপনার কাছের কেউ চাইলেই এই পাসওয়ার্ড অনুমান করে ফেলতে পারে। ফলে তারা খুব সহজেই আপনার ফোনটি খুলে ফেলতে পারবে। এতে ফোনটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। কারণ হ্যাকাররা প্রথমে এই বিষয়গুলোতেই ফোকাস করে।
এজন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের জন্য আলফানিউমেরিক ব্যবহার করুন। একটা বড় পাসওয়ার্ড বেছে নিন (৮ থেকে ১২ ক্যারেক্টর বিশিষ্ট)। ছোট ও বড় হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং স্পেশাল ক্যারেক্টর,যেমন @-$& ইত্যাদি সব মিলিয়ে বানাতে হবে।
সূত্র: ক্যাসপার স্কাই