শিরোনাম
৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার কেনার কথা বলেছিলেন টেসলা ও স্পেস এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই নাটকীয় ভাবে সেই চুক্তি থমকে যায়।
মাস্ক জানান, আপাতত চুক্তি স্থগিত। মুখে কুলুপ টুইটার কর্তৃপক্ষের। এ বার জানা যাচ্ছে, প্রস্তাবিত দরের চেয়ে আরও কম দাম দিতে চাইছেন মাস্ক।
৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে যে চুক্তি এত দিন ছিল কার্যত ‘ডান ডিল’, আচমকাই তাতে অনিশ্চয়তার ঝোড়ো বাতাস। টুইটার প্রাথমিকভাবে যত বট বা ভুয়া ও স্বয়ংক্রিয় অ্যাকাউন্ট আছে বলে জানিয়েছিল, বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রয়েছে তার চেয়েও অনেক বেশি। এ নিয়ে প্রথমেই আপত্তি তোলেন মাস্ক। পাশাপাশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট ধরার ক্ষেত্রে টুইটারের নিজস্ব প্রক্রিয়ারও বিভিন্ন খামতি নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলতে থাকেন।
সোমবার এই প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মাস্ক। এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে মিয়ামিতে তিনি বলেন, ‘যেমন দাবি করা হয়েছিল, বাস্তবে যদি কোনও কিছু সেই দাবির চেয়েও নিম্নমানের হয়, তা হলে নিশ্চয়ই আপনি এক দাম দিতে রাজি হবেন না’।
মাস্কের এই বক্তব্যের পরেই নতুন করে দরাদরির প্রসঙ্গ দিনের আলো দেখছে। তাতেই ওয়াকিবহাল মহলের মনে হয়েছিল, মাস্ক হয়তো প্রস্তাবিত চুক্তির পরিমাণ মতো অর্থ দিতে চান না। পাশাপাশি দাম আরও খানিকটা কমিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ সব বলছেন তিনি।
মাস্কের দাবি ছিল, তিনি মানুষকে মত প্রকাশের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চান। তাই সর্বাগ্রে প্রয়োজন ভুয়া অ্যাকাউন্ট ধরে ধরে বন্ধ করা। কিন্তু এ নিয়েই টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মাস্কের মতবিরোধের শুরু। এদিকে আনু্ষ্ঠানিক ক্রয়প্রক্রিয়া শুরুর আগেই মাস্ক টুইটার কিনতে চেয়ে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের দর হেঁকে বসেছিলেন। তার পর শুরু হয় ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ও তাদের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জটিলতা।
এখন আকারে-ইঙ্গিতে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি টুইটার কিনতে পারেন, কিন্তু প্রস্তাবিত দরের চেয়েও কম দামে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর