শিরোনাম
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন যখন গত বছর নভেম্বরে শনাক্ত হয় এবং দুই মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, তখন করোনা আতঙ্ক আরো তীব্র হয়ে উঠেছিল। কিন্তু করোনার অন্যান্য ধরনে আক্রান্তদের তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে রোগের তীব্রতা ও মৃত্যুহার তুলনামূলক কম হওয়ায় নতুন ধরনটির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মত পাল্টেছে। তাঁদের অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন, ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় মহামারিতে রূপ নিতে চলেছে বৈশ্বিক করোনা মহামারি।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সংক্রামক রোগতত্ত্বের অধ্যাপক ডেভিড হেম্যান বলেন, ‘আমার মতে বৈশ্বিক মহামারিটা স্থানীয় রূপ নিতে চলেছে এবং এটা এভাবেই কিছুকাল আমাদের মধ্যে থেকে যাবে।
অন্যান্য করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে তেমনটাই ঘটেছে। শুধু করোনাভাইরাস নয়, সব ভাইরাসই স্থানীয় পর্যায়ে চলে আসতে থাকে। এবারের বৈশ্বিক করোনা মহামারিও স্পষ্টভাবে সেদিকেই যাচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে। ’
অতীতের বিভিন্ন মহামারি পরিস্থিতির ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা বর্তমান মহামারির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা করছেন। অধ্যাপক হেম্যান বলেন, ‘এর আগেও চারটি করোনাভাইরাস স্থানীয় মহামারিতে পরিণত হয়েছে। ’ পঞ্চম করোনাভাইরাসটির পরিণতিও একই হতে চলেছে এবং ‘এটাই সংক্রমণের প্রাকৃতিক ইতিহাস’, বলেন হেম্যান।
করোনাভাইরাস যে বৈশ্বিক থেকে স্থানীয় মহামারিতে পরিণত হতে চলেছে, সেটা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত। কিন্তু কবে নাগাদ এই মহামারি স্থানীয় রূপ নেবে, সেই অনুমান আপাতত করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের ঢেউয়ের মধ্যে কভিড-১৯ টিকা ও বুস্টার ডোজ গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে উচ্চমাত্রার কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) প্রকৃত রোগী নিয়ে চালানো এক বিশদ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
আলোচ্য গবেষণাটির জন্য ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি অঙ্গরাজ্যের হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ, জরুরি চিকিৎসাসেবা ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনায় তিন লাখের বেশি পর্যবেক্ষণে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
সূত্র : এএফপি